ডেটা সাংবাদিকতা সহায়িকা

প্রকাশকাল: ১৬ মার্চ ২০২৫

প্রতিদিন বিশ্বে প্রায় ২.৫ টেরাবাইট ডেটা ইন্টারনেটে আসছে। এই হিসেব চার বছর আগের । ধরা হচ্ছে, ২০২৫ সাল নাগাদ প্রতিদিন ৪৬৩ এক্সাবাইট ডেটা অবমুক্ত হবে আপনি যদি এস্সাবাইট শব্দটির সঙ্গে অপরিচিত হন, তাহলে জেনে নিন এক এক্সাবাইটে যে পরিমাণ ডেটা আঁটে, তা ধারণ করতে ২ কোটির বেশি ডিভিডি লাগবে। আমরা খেতে খেতে, হেঁটে যেতে যেতে, খবর পড়তে পড়তে, কথা বলতে বলতে, মেসেজ পাঠাতে পাঠাতে, ছবি দেখতে দেখতে এমনকি ঘুমাতে ঘুমাতেও প্রতিনিয়ত ডেটা তৈরি করে যাচ্ছি অনলাইনে যা অর্ডার করছেন, আপনার চলাচলের প্রতিটি জিপিএস পয়েন্ট, স্মার্টফোনের হেলথ আ্যাপে ঘুমানো বা হাঁটার যে রেকর্ড দেখছেন, ফেসবুক বা টুইটারে প্রতিটি লাইক বা পোস্ট এর সবই ডেটা । ইন্টারনেটে সংযুক্ত আমাদের প্রতিটি মুহুর্ত অবিরাম ডিজিটাল ডেটা তৈরি করে যাচ্ছে। আমরা ডেটার দুনিয়ায় বাস করছি। ডেটা আমাদের ব্যক্তি-অভ্যাস, অর্থনীতি, সমাজজীবন সব কিছুকেই প্রভাবিত করছে।

ডেটা কী এ নিয়ে পরে আরো আলোচনা হবে৷ কিন্তু, এখন মোটা দাগে বলা যায়, ডেটা আসলে কী নয়? সব কিছুই ডেটা দিয়ে দেখা, বোঝা এবং ব্যাখ্যা করা যায়। এ তো গেল ইন্টারনেটে পাওয়া ডিজিটাল ডেটার কথা ৷ একবার ভাবুন, প্রতিদিন প্রতিটি অফিসে কত নথি তৈরি হচ্ছে, তাতে কত তথ্য থাকছে? প্রযুক্তি যতই এগুচ্ছে আমাদের নথিগুলোও ততোই ডিজিটাল হয়ে উঠছে । একজন সাংবাদিক হিসেবে, আগে সোর্সের কাছ থেকে একটি কাগজের কপি আনতে কত বেগ পেতে হতো । এখন ফাইলে থাকা কাগজটির ছবি তুলে নিলেই হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে যেতেও হচ্ছে না; আপনার ইমেইলে, হোয়াটসআ্যাপে বা মেসেঞ্জারেই সোর্স নথি পাঠিয়ে দিচ্ছেন। এখন এমন সাংবাদিক পাওয়া মুশকিল, যার মোবাইলে কোনও নথি বা সরকারি পরিসংখ্যানের ইমেজ বা পিডিএফ নেই৷ সেই নথিগুলোকেই আপনি যখন একটি ওসিআর বা অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিকগনিশন আ্যাপ দিয়ে টেক্সটে বদলে নিচ্ছেন, অথবা সেই নথির তথ্য নিজে কম্পিউটারের কোনো ফাইলে টুকে রাখছেন সেটি তখন ডিজিটাল ডেটায় বদলে যাচ্ছে ।

সম্পূর্ণ বইটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন