প্রকাশকাল: ০৪ মার্চ ২০২৩
একটি দেশে গণতান্ত্রিক শাসনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম, যে শাসনব্যবস্থার মূলে আবশ্যক শর্ত এই যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এবং অন্যদের সাথে তাদের পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ায় গণতান্ত্রিক নিয়ম অনুসারে পরিচালিত হবে।
নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের পছন্দমাফিক প্রতিনিধি বাছাই করে নেওয়ার সুযোগ লাভ করে থাকেন। ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’ স্লোগানের মধ্য দিয়ে এ প্রত্যয়ই প্রতিফলিত হয়েছে যে জনগণ তাদের ভোটাধিকার স্বাধীনভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে পছন্দের প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করার ক্ষেত্রে অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করবেন।
বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমরা যদি বিগত দিনগুলোর ইতিহাস পর্যালোচনা করি তাহলে দেখতে পাই, সাম্প্রতিক অতীতে ২০০৮ সালে একটি গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠু, অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে সব মহলে স্বীকৃত ও প্রশংসিত হয়েছিল। বাংলাদেশের জনগণ সে সময় এই উপলব্ধিতে পৌঁছেছিলেন যে ওই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে তারা তাদের পছন্দমতো প্রকৃত প্রতিনিধিদেরই সংসদে প্রেরণ করতে পেরেছেন। তারা আশাবাদী হয়ে ওঠেন যে ভবিষ্যতে একইভাবে তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারবেন। কিন্তু সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে তৎকালীন প্রধান বিরোধী দলের নেতৃত্বাধীন জোট তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনের পথ বেছে নেয় এবং রাজপথে অনড় থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে বর্জন করে, ফলে নির্বাচন হয়ে পড়ে একদলীয়।
বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন