হলফনামায় প্রার্থী পরিচিতি: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

প্রকাশকাল: ০৪ জুলাই ২০২৪

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনের পর থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের হলফনামা নির্বাচন কমিশন প্রকাশ করলেও, তা শুধুমাত্র নিয়মরক্ষার কার্যক্রম হিসেবে রয়ে গেছে৷ নির্বাচনী হলফনামার তথ্যের সত্যতা, সামঞ্জস্যতা যাচাই বা প্রাপ্ত তথ্য সাধারণ মানুষের সিদ্ধান্তগ্রহণে সহযোগিতা করে এমনভাবে উপযোগী করে তোলার উদ্যোগ দেখা যায় না। এমন বাস্তবতায় বড় পরিসরে হলফনামার সকল তথ্যকে আরো বিশ্লেষণযোগ্যভাবে সহজলভ্য করার মাধ্যমে প্রার্থী সম্পর্কে ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসহ অংশীজন কর্তৃক সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তার অংশ হিসেবে হলফনামায় দেওয়া তথ্যের বিশ্লেষণ করা ও প্রাপ্ত ফলাফল জনগণের জন্য কী বার্তা দেয়- তার একটি সার্বিক চিত্র তুলে ধরতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)- এর এই প্রয়াস।

নির্বাচনী হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণে আমরা দেখছি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বড় সংখ্যায় অংশগ্রহণ করেছেন এবং ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সংসদে গিয়েছেন। এর পেছনের কারণ স্বাভাবিকভাবেই ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে উৎসাহ প্রদান । আমরা আরো দেখেছি, সর্বশেষ চারটি নির্বাচনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫৬.৫৪ শতাংশ ব্যবসায়ী প্রার্থী দ্বাদশ নির্বাচনে অংশ নেন। ১৫ বছরের ব্যবধানে ব্যবসায়ী প্রার্থীদের অংশগ্রহণের হার বেড়েছে প্রায় ৯ শতাংশ । নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ৬৫ শতাংশই ব্যবসায়ী, যা সর্বশেষ চারটি সংসদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৷ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের সদস্যদের মধ্যে ব্যবসায়ীর হার ছিলো ১৮ শতাংশ ৷ একইভাবে বেড়েছে কোটি টাকা আয় করা প্রার্থী ও সংসদ সদস্যের সংখ্যাও ৷ বছরে অন্তত এক কোটি টাকা আয় করেন এমন প্রার্থীর সংখ্যা ১৬৪ জন, এটিও সর্বশেষ চার নির্বাচনে সর্বোচ্চ। অস্থাবর সম্পদের ভিত্তিতে দ্বাদশ সংসদের সদস্যের প্রায় ৮৫ শতাংশই কোটিপতি (অস্থাবর সম্পদ মূল্যের ভিত্তিতে) ৷ সর্বশেষ চারটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের গড় অস্থাবর সম্পদের তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, দশম সংসদের তুলনায় একাদশ সংসদের সম্পদ বেড়েছে ৭৫ শতাংশের বেশি।

সম্পূর্ণ বইটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন