বাংলাদেশে সুশাসনের সমস্যা উত্তরণের উপায়: চতুর্দশ খন্ড

প্রকাশকাল: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

স্বাধীনতা-পরর্বতীকালে আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করলেও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বরাবর অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা বিরাজ করেছে। বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং অগ্রযাত্রাকে প্রতিনিয়িত ব্যাহত করেছে। তবে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯১ সালে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে প্রধান তিনটি রাজনৈতিক জোট কর্তৃক একটি রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়েছিল। ওই রূপরেখায় স্বাক্ষর করার মাধ্যমে প্রধান তিনটি রাজনৈতিক জোট অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ শাসনের দায়িত্ব গ্রহণ, সার্বভৌম সংসদ গঠন, জবাবদিহিমূলক নির্বাহী বিভাগ প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার অঙ্গীকার করেছিল।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের ঘাটতির ফলে বারবার গণতান্ত্রিক পথ থেকে বিচ্যুতি ও নির্বাচনকালীন সহিংসতার দিকে প্রতিনিয়ত ধাবিত হচ্ছে। এ ছাড়া আইনগত দুর্বলতা, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, সক্ষমতার ঘাটতি, দুর্নীতি, জবাবদিহির ঘাটতি, বিচারহীনতা, দায়মুক্তি ইত্যাদি কারণে গণতান্ত্রিক ও শুদ্ধাচারচর্চা ও রাজনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠানগুলো যথাযথভাবে তাদের ভ‚মিকা পালন করতে পারছে না। এর ফলে গণতন্ত্র ও শুদ্ধাচারচর্চাবিষয়ক বিভিন্ন বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের ক্রমাবনতি লক্ষ করা যাচ্ছে।

 

বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন