প্রকাশকাল: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
২০২৪ সাল বাংলাদেশের জন্য একটি যুগান্তকারী বছর। বছরটি শুরু হয়েছিল একটি বিতর্কিত, একপক্ষীয় ও পাতানো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে, যার ওপর ভিত্তি করে সরকার গঠিত হয়। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা একটি অহিংস আন্দোলন শুরু করে ২০২৪ সালের জুন মাসে, যা সরকারের নজিরবিহীন নিপীড়ন ও সহিংসতার কারণে জুলাই-আগস্ট মাসে সরকার পতনের আন্দোলনে পরিণত হয়। দীর্ঘ সময়ের কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ থেকে এই আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা ছাড়াও সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করে। এই পরিক্রমায় বহু ত্যাগের বিনিময়ে ৫ আগস্ট সরকারের পতন ঘটে এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা, যা রাষ্ট্র সংস্কার ও নতুন রাজনৈতিক এবং সামাজিক বন্দোবস্তের মাধ্যমে “নতুন বাংলাদেশ” গড়ার অভূতপূর্ব সুযোগ তৈরি করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার মূল প্রত্যাশা একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহি দহিমূলক, দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন “নতুন বাংলাদেশ” গড়ার উপযোগী রাষ্ট্রকাঠামো ও পরিবেশ তৈরি করা। “নতুন বাংলাদেশে” রাষ্ট্র সংস্কার ও জাতীয় রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মূল অভীষ্ট দুর্নীতি, তথা ক্ষমতার অপব্যবহারের এই বিচারহীনতার মূলোৎপাটন করা। এই অভীষ্ট অর্জনের লক্ষ্যে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বপ্রাপ্ত সব প্রতিষ্ঠানের আমূল সংস্কারের পাশাপাশি দুর্নীতিবিরোধী চাহিদা জোরদার করতে গণমাধ্যমসহ সব অংশীজন ও সাধারণ জনগণ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের সক্রিয় অংশগ্রহণের উপযোগী নিষ্কণ্টক পরিবেশ অপরিহার্য। তবে সার্বিক রাষ্ট্র পরিচালনা কাঠামোকে দলীয়করণ ও পেশাগত দেউলিয়াপনা থেকে উদ্ধার করা ছাড়া দুর্নীতির কার্যকর নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব। জনপ্রতিনিধিত্ব, সরকার ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা এবং চর্চায় এমন আমূল পরিবর্তন আনতে হবে, যেন জনগণের রায় ও অর্পিত ক্ষমতা এবং জনগণের কাছে কার্যকর জবাবদিহির মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালিত হয়।
সম্পূর্ণ বইটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন