প্রকাশকাল: ০৪ মার্চ ২০২৩
দুর্নীতি উন্নয়ন, সামাজিক ন্যায়বিচার ও দারিদ্র্য দূরীকরণের পথে অন্যতম প্রধান অন্তরায়। বাংলাদেশে দুর্নীতি গণমাধ্যমসহ সাধারণ জনগণের দৈনন্দিন আলোচনা ও উদ্বেগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এমতাবস্থায় রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন নীতিমালা ও কৌশলপত্রেও দুর্নীতিকে কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, আইনের প্রয়োগ ও শাসন ব্যবস্থাকে দরিদ্রদের জন্য উপযোগী করে তোলার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় ও আর্থ-সামাজিক কর্মকান্ডের বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতি ঘটতে পারে। নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে রাজনীতি, প্রশাসন ও বেসরকারি খাতের প্রভাবশালীদের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বড় অঙ্কের অর্থের অবৈধ লেনদেন ঘটে যার প্রভাব সামষ্টিক ও ব্যাষ্টিক পরিসরে ব্যাপক। এসব দুর্নীতি দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থায় সামষ্টিক ও ব্যাষ্টিক উভয় পর্যায়ে ব্যাপকভাবে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে। সাধারণত এসব দুর্নীতিকে বৃহৎ দুর্নীতি হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
অপরদিকে, সেবাগ্রহণকারীরা বিভিন্ন সংস্থা হতে সেবা গ্রহণকালে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মের শিকার হয়। কোনো সেবা গ্রহণকালে সেবার মূল্যের সাথে ছোট অঙ্কের আর্থিক লেনদেন এ পর্যায়ে এ দুর্নীতির উদাহরণ হিসেবে বলা যায়। এ ধরনের দুর্নীতি ক্ষুদ্র দুর্নীতি হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়, যা হাজার হাজার সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করে এবং রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে। বর্তমান জরিপে এসব দুর্নীতির ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন