প্রকাশকাল: ২৪ নভেম্বর ২০২৩
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর অনুপ্রেরণায় গঠিত উত্তরা ইউনিভার্সিটি ইয়ুথ এনগেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট (ইয়েস) গ্রুপের উপদেষ্টা অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম খান এর মৃত্যুতে টিআইবি পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। ২৩ নভেম্বর ২০২৩ সন্ধ্যায় ঢাকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক কোয়ার্টারে মেয়ের বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। উত্তরা ইউনিভার্সিটির স্কুল অব এডুকেশন অ্যান্ড ফিজিক্যাল এডুকেশনের সাবেক ডিন অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম খান বেশ কিছুদিন যাবৎ বার্ধক্যজনিত জটিলতায় আক্রান্ত ছিলেন।
অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম খান উত্তরা ইউনিভার্সিটি ইয়েস গ্রুপের প্রতিষ্ঠালগ্ন ২০ এপ্রিল ২০০৯ থেকে সম্পৃক্ত হয়ে দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলন পরিচালনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই কন্যা ও এক পুত্রসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম খান বাংলাদেশে শারীরিক শিক্ষায় স্নাতকোত্তর কোর্স (এমপিইড) প্রবর্তনের পথপ্রদর্শক। ২০১৬ সালে তিনি বাংলাদেশ শারীরিক শিক্ষা সমিতি থেকে আজীবন কৃতিত্ব পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ১৯৬৮ সালে সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ, ঢাকা থেকে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন এবং পরে ১৯৭১ সাল থেকে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের প্রধান হিসেবে ৩৫ বছর কাজ করেছেন।
অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম খান ১৯৮৫ সালে জাপান, ১৯৮৯ সালে জার্মানি এবং ২০০১ সালে চীনে অনুষ্ঠিত ‘বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয় গেমস’-এ বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া সংস্থার অ্যাথলেটিক্স দলের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। এছাড়াও তিনি ২০১১ সালে এথেন্সে এবং ২০১৩ থাইল্যান্ডে প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০১৩ ও ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ‘বিশেষ অলিম্পিক ওয়ার্ল্ড গেমস’-এ বাংলাদেশ দলের ডেপুটি হেড অব ডেলিগেশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ক্রীড়া বিজ্ঞান এবং শারীরিক শিক্ষার উপর বেশ তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ রয়েছে।
দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনে অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম খান এর অবদান আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করবে। টিআইবি’র ট্রাস্টি বোর্ড ও সাধারণ পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, কর্মী, দেশের ৪৫টি এলাকার সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), ইয়ুথ এনগেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট (ইয়েস), অ্যাকটিভ সিটিজেন্স গ্রুপ (এসিজি), ঢাকা ইয়েস, ওয়াইপ্যাক এর সদস্যসহ সকলের পক্ষ থেকে আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।