প্রকাশকাল: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), খাগড়াছড়ি - এর উপদেষ্টা এবং প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অনন্ত বিহারী খীসা (জন্ম: ১ নভেম্বর ১৯৩৭) এর মৃত্যুতে টিআইবি পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ দুপুর ১২.০০টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। অনন্ত বিহারী খীসা ২৩ নভেম্বর ২০১০ সনাক, খাগড়াছড়ি - এর প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে সম্পৃক্ত হয়ে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলন পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অনন্ত বিহারী খীসা ১৯৫৩ সালে রাঙ্গামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে স্কুল ফাইনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৫৯ সালে চাকুরিরত অবস্থায় কুমিল্লা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বি এড ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯৬০ থেকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরুর করার পর ১৯৬২ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছেন।
অনন্ত বিহারী খীসা কৃষি, শিক্ষাসহ সমাজের নানা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। কৃষি ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৭৮ সালে ‘রাষ্ট্রপতি পদক’, ১৯৯৫ সালে শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এবং ২০০৩ সালে কৃতি ও প্রবীন শিক্ষক হিসেবে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন কর্তৃক সম্মাননা লাভ করেন। এছাড়া তিনি খাগড়াছড়ি শাখার বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারি সমিতি, প্রবীণ হিতৈষী সংঘ, জরা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি তিন ছেলে ও এক কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনে অনন্ত বিহারী খীসা-এর অবদান আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করবে। টিআইবি’র সাধারণ পর্ষদ, ট্রাস্টি বোর্ড, সকল কর্মী, দেশের ৪৫টি এলাকার সনাক, স্বজন, ইয়েস, ইয়েস ফ্রেন্ডস, ঢাকা ইয়েস, ওয়াইপ্যাক - এর সদস্যসহ সকলের পক্ষ থেকে আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।