প্রকাশকাল: ২৯ মার্চ ২০১৩
ঢাকা, ২৭ মার্চ ২০১৩: ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ময়মনসিংহের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি (তৎকালীন আহ্বায়ক) ও উপদেষ্টা, আনন্দ মোহন কলেজ-এর সাবেক অধ্যক্ষ ও শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ-এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ প্রফেসর শামসুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এক বিবৃতিতে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালকড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “অধ্যাপক শামসুল ইসলাম-এর মৃত্যুতে টিআইবি’র ট্রাস্টি বোর্ড ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, সারা দেশের ৪৫টি এলাকার সনাক, স্বজন, ইয়েস সদস্য ও ইয়েস ফ্রেন্ডস সদস্য এবং টিআইবি’র কর্মী সহ সকলে ব্যথিত। তাঁর মৃত্যুতে টিআইবি পরিবার দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের একজন পথিকৃত ও সক্রিয় সহযোদ্ধাকে হারালো। আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “টিআইবি অনুপ্রেরণায় সেপ্টেম্বর ২০০০-এ ময়মনসিংহে প্রথম সনাক গঠন থেকে শুরু করে সনাক-এর মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন পরিচালনার রূপরেখা তৈরীতে তাঁর অবদান, দুরদৃষ্টিসম্পন্ন পরামর্শ, ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও আন্তরিক সহযোগিতাকে আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। সনাক ময়মনসিংহ-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে এবং পরবর্তীতে উপদেষ্টা হিসেবে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ, বলিষ্ঠ নেতৃত্বও টিআইবি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে।”
প্রফেসর শামসুল ইসলাম তাঁর বর্ণাঢ্য পেশাগত ও সামাজিক জীবনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সরকারি আনন্দমোহন কলেজ, ময়মনসিংহ-এর সাবেক অধ্যক্ষ এবং শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ, ময়মনসিংহ-এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। তিনি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোডর্, যশোর-এর সচিব ও দুই বছরের জন্য চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য, বাংলাদেশ কৃষি বিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল ও রেগুলেশন কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ স্কাউটস্-এর জাতীয় কমিশনার ও নির্বাহী কমিটির সদস্য, শিক্ষা মন্ত্রীর সভাপতিত্বে রাষ্ট্রপতি নিয়োজিত কাবিং সমপ্রসারণ কমিটি’র সদস্য সচিব হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জাতীয় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও শ্রেষ্ঠ প্রবীণ শিক্ষক হিসেবে একাধিকবার স্বর্ণপদক ও পুরস্কার লাভ করেন। বাংলাদেশ স্কাউটস এর সংবিধান ‘গঠন ও নিয়ম’-এর খসড়া প্রস'তকারী। স্কাউটিং-এ বিশেষ অবদানের জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চীফ স্কাউট তাকে রৌপ্য ইলিশ পদে ভূষিত করেন। এছাড়া, ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের তিনি প্রতিষ্ঠাতা এবং গভর্নিং বডির সভাপতি ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি শ্রমিক আন্দোলন, ক্রীড়া সংগঠন, নারী শিক্ষা সহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত হয়ে সমাজকে অগ্রসর দিকে নিয়ে যেতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন।
প্রফেসর শামসুল ইসলাম ১৯৩৯ সালের ৮ অক্টোবর ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার পাইথল ইউনিয়নের গয়েসপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যু কালে তিনি তাঁর স্ত্রী, ১ কন্যা ও এক পুত্র সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
গণমাধ্যম যোগাযোগ:
পরিচালক
আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন
ফোন: +৮৮ ০২ ৪১০২১২৬৭-৭০