বাংলাদেশে জলবায়ু অর্থায়ন: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়

প্রকাশকাল: ০৩ অক্টোবর ২০১৩

জলবায়ু পরিবর্তন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সকল প্রকার উন্নয়ন, অগ্রগতি, দারিদ্র্য বিমোচন উদ্যোগ, নিরাপত্তা এবং অস্তিত্বের জন্য প্রধান হুমকি। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনে বিশ্বের ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হওয়ায় ভবিষ্যতে এর কাক্সিক্ষত উন্নয়ন প্রμিয়া বাধাগ্রস্থ হওয়ার আশংকা প্রকট। বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি সূচক ২০১৩ অনুযায়ী, আগামী ২০ বছরে জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ঝুঁকিতে অবস্থানকারী প্রধান দেশ হলো বাংলাদেশ (জার্মানওয়াচ, ২০১৩)। এছাড়াও ক্লাইমেট ভালনারেবিলিটি মনিটরিং রিপোর্ট ২০১১-এ বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে অবস্থানকারী “উত্তপ্ত ক্ষেত্র” হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং শুধুমাত্র জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ বছরে অতিরিক্ত গড়ে ৬ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে প্রতিবেদনটি পূর্বাভাস দিয়েছে।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। ঝুঁকিতে নিপতিত বিভিন্ন দেশের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় গৃহীত অভিযোজন কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের পরিমাণও ভিন্ন ভিন্ন। এ পরিপ্রেক্ষিতে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড (বিসিসিটিএফ) আইন ২০১০-এর আওতায় বিসিসিটিএফ গঠনের মাধ্যমে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অভিজ্ঞ এনজিও, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/ সংস্থাকে প্রকল্প ও কর্মসূচী বাবদ অর্থায়নের বিধান রাখা হয়, এবং বাংলাদেশ সরকার এর রাজস্ব বাজেট হতে বিসিসিটিএফ’কে এ ২০১৩-১৪ অর্থ বছর পর্যন্ত ৩৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করেছে।