প্রকাশকাল: ১৮ মার্চ ২০১৩
একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জন্য সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা অত্যন্ত জরুরি। আর সরকারি দায়-দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা তা জনসম্মুখে প্রকাশের মাধ্যমে সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য হিসাবরক্ষণ ও আর্থিক বিবরণী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সরকারি সম্পদের ব্যবহার এবং সরকারি অর্থ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ বণ্টনের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে হিসাবরক্ষণ ও আর্থিক বিবরণী একটি পূর্ণ চিত্র প্রদান করে।
হিসাবরক্ষণ সরকারি ব্যয়ের দুর্নীতি ও অপচয়ের বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রণ কৌশল এবং প্রহরী হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশে সরকারি প্রতিষ্ঠানের হিসাবরক্ষণের দায়িত্ব পালন করে ‘ হিসাব মহা নিয়ন্ত্রক (সিজিএ) অফিস’। যেকোনো সরকারি বিল বা অর্থছাড় অনুমোদন করার পূর্বে তাতে কোনো প্রশাসনিক, আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে কিনা তা যাচাই করা এই অফিসের দায়িত্ব।
গত কয়েক বছরে সিজিএ অফিসে হিসাবরক্ষণ পদ্ধতির অটোমেশনসহ বিভিন্নরকম ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হলেও এর কিছু সমস্যা এখনো বিদ্যমান। এর মধ্যে জনবলের অভাব, তাদের কর্মদক্ষতার অভাব, আইনগত সীমাবদ্ধতা, কার্যক্রমে মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ, স্থাপনা ও লজিস্টিক সুবিধার অভাব উল্লেখযোগ্য। অন্যদিকে বিভিন্ন ধরনের বিল পাস করাতে ঘুষ, হয়রানি, বিল হারিয়ে ফেলা, হিসাবের প্রতিবেদন তৈরিতে বিলম্ব ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।