সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
এক দশকে ড্যাপ এর আওতাভুক্ত ২২ শতাংশ জলাশয় ভরাট:
আইনের কঠোর প্রয়োগের জোর তাগিদ
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০১৯: বিগত প্রায় এক দশকে ঢাকা ও এর চারপাশে ঢাকা বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা ২০১০ (ড্যাপ) এ নির্ধারিত বন্যাপ্রবাহ অঞ্চলের ২৫ শতাংশ, জলধারণ অঞ্চলের ৩৫ শতাংশ ও জলাশয় এর ৭ শতাংশ অঞ্চল ভূমি উন্নয়নের নামে ভরাট হয়েছে। ড্যাপ ২০১০ এর ভূমি ব্যবহার ম্যাপ ও ২০১৯ সালের একই ম্যাপ এ ভরাটকৃত জলাশয় - এর স্যাটেলাইট চিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে এ করুণ চিত্র উঠে এসেছে যা সামগ্রিকভাবে এ অঞ্চলের পরিবেশ ও প্রতিবেশ এর জন্য চরম উদ্বেগজনক। ‘ঢাকা ও এর চারপাশের জলাশয় ভরাটের চিত্র’ শীর্ষক এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসছে।
ভূমি উন্নয়নের নামে এহেন ধ্বংসযজ্ঞ প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট তদারকি প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রকট ব্যর্থতা দেশের আইনের শাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ভূমিদস্যুর সাথে রাজনৈতিক মহল ও স্থানীয় প্রশাসন এর একাংশের মধ্যকার ত্রিপক্ষীয় যোগসাজসে ভয়াবহ এ অবৈধতা প্রাতিষ্ঠানিক রুপ লাভ করেছে যার বিপক্ষে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থসহ সম্মিলিতভাবে সকলকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি, অদূর ভবিষ্যতে এ অবৈধতা প্রতিরোধ ও ভূমি ব্যবসায়ীদের অবৈধ কার্যকলাপ রোধে প্রচলিত আইনের সঠিক প্রয়োগ এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি জনসম্পৃক্ততা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে এ সমস্যাসমূহের কারণে সৃষ্ট সামাজিক ও পরিবেশ সংশ্লিষ্ট চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলায় উদ্যোগী হতে হবে। এছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশে অবৈধ ভূমি বেদখল ও জলাশয় ভরাট রোধে প্রযুক্তনির্ভর পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা স্থাপনসহ জলাশয় রক্ষায় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে শক্তিশালীকরণ, ক্ষমতায়ন এবং নির্ধারিত জলাশয় অঞ্চলের ভূমি ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। ‘ঢাকা ও এর চারপাশের জলাশয় ভরাটের চিত্র’ ও ‘সাভার অঞ্চলের জলাভূমি ভরাট’ শীর্ষক দুটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশেষজ্ঞবৃন্দ এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবি সমিতি (বেলা); ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি); অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি); বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি); নিজেরা করি; এবং নদী ও পরিবেশ উন্নয়ন পরিষদ, সাভার এর সম্মিলিত আয়োজনে গবেষণা প্রতিবেদন দুটি প্রকাশ উপলক্ষে আজ ২৫ এপ্রিল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উল্লিখিত গবেষণাসমূহের ফলাফল উপস্থাপনা করেন বিআইপি’র সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আদিল মোহাম্মদ খান, এবং সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এন্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) এর গবেষণা সহযোগী জনাব ফিরোজ আহমেদ কনক।
ড. ইফতেখারুজ্জামান এর সভাপতিত্বে টিআইবি’র মেঘমালা সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বেলা-এর প্রধান নির্বাহী এডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ইন্সটিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স (আইএবি) এর প্রাক্তন সভাপতি স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, বুয়েট এর নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের ড. ইশরাত ইসলাম, নিজেরা করি এর সমন্বয়কারী খুশী কবীর, এএলআরডি এর নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর যুগ্ম সম্পাদক স্থপতি ইকবাল হাবিব, এবং নদী ও পরিবেশ উন্নয়ন পরিষদ, সাভার এর মোঃ শামসুল হক।
‘ঢাকা ও এর চারপাশের জলাশয় ভরাটের চিত্র’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনাকালে পাওয়াপয়েন্টের মাধ্যমে ঢাকা ও এর আশপাশের জলাশয় ভরাট সম্পর্কিত চিত্র তুলে ধরা হয়। ড্যাপ (২০১০) আওতাধীন এলাকাসমূহের মধ্যে ২০১০ এর ভরাটপূর্ব ও ২০১৯ এ ভরাট পরবর্তী এলাকাসমূহের স্যাটেলাইট ইমেজ এর বিশ্লেষণ করে একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়। গবেষণা অনুযায়ী, ড্যাপ এর বন্যাপ্রবাহ, জলাধার ও জলাশয় শ্রেণীভুক্ত মোট ১০০৯৩৭ একর জমির মধ্যে ২০১০ এর পর থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ২২৫১৬ একর জমি ভরাট করা হয়েছে যা মোট অংশের ২২ শতাংশ। গবেষণার আওতাধীন এলাকাসমূহ হল: ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী এলাকা, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, মোহাম্মাদপুর (বসিলা), বেরাইদ, নারায়ানগঞ্জ বাক্তার চড়, আমিন বাজার, উত্তরা ১৮ নং সেক্টর, সাভার থানা, গাজীপুর থানা, রূপগঞ্জ থানা, কেরানীগঞ্জ থানা, ঢাকা মেট্রোপলিটান এলাকা। গবেষণায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থেকে ড্যাপ ২০১০ এর ভূমি ব্যবহার ম্যাপ সংগ্রহপূর্বক ২০১৯ সালের ভরাটকৃত জলাশয় সনাক্তকরনের ক্ষেত্রে স্যাটেলাইট ইমেজ ব্যবহার করা হয়েছে। স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণের জন্য জিআইএস প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত আর্ক-ম্যাপ সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে এবং এ সফটওয়্যারের ইমেজ প্রসেসিং টুলস ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন জলাধার অঞ্চলসমূহের পরিমাণ নির্ণয় করা হয়েছে।
গবেষণার জলাশয় সংরক্ষণে বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরা হয়, যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল: নদী, খালসহ যেকোনো জলাশয় সামনে রেখে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনায় ছোট বা বড় নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় এমন কার্যক্রম গ্রহন থেকে বিরত থাকতে হবে; ভূমি ব্যবসায়ীদের অবৈধ কার্যকলাপ রোধে প্রচলিত আইনের সঠিক প্রয়োগ এবং শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে; জলাশয় সংরক্ষণ ও নজরদারির সাথে জড়িত প্রতিটি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে জলাশয় সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশে উদ্যোগ গ্রহণ; জলাশয় গুলোর অর্থনৈতিক মূল্যায়ন; ইকো পর্যটন প্রবর্তনের মাধ্যমে উন্নত দেশের মত জলাশয় সংরক্ষণের উদ্যোগ; শহরের বর্জ্য মেশানো পানি যেন সরাসরি জলাধারে প্রবেশ করতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করা; জলাশয়গুলো সংরক্ষনের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানির রিচার্জ করণ এবং নিরাপদ পানির উৎস বৃদ্ধিকরণে জলাশয় সংরক্ষণের ভূপৃষ্ঠস্থ ও ভূগর্ভস্থ পানির প্যাটার্ন ও ব্যাপ্তি অনুসরণের জন্য উপযুক্ত মনিটরিং ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে; পানির স্তর রিচার্জ, নিষ্কাশন, মাটির আদ্রতা পরিবর্তন ও পানি সঞ্চয়ের বিষয় বিবেচনায় নিয়ে পানি বাজেট প্রস্তুত করা; সরকার কর্তৃক বেসরকারি মালিকানাধীন অংশ ক্রয় করে সেই অঞ্চলের ভূমি ব্যবহারের উপর সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি করা; Transfer of Development Right (TDR) এর মাধ্যমে জলাভূমির মালিকদের ভূমি উন্নয়ন অধিকার অন্যত্র সরানো; Land Ceiling Act প্রয়োগ করে ব্যক্তি, কোম্পানি কিংবা প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পরিমাণ ভূমি মালিকানা নির্দিষ্ট করে দেয়া, ইত্যাদি।
‘সাভার অঞ্চলের জলাভূমি ভরাট’ শীর্ষক গবেষণার প্রথম অংশে ২০০৮, ২০১০, ২০১৩ ও ২০১৮ সময়কালের স্যাটেলাইট ইমেজ ব্যবহারের মাধ্যমে তুরাগ নদ ও আমিনবাজার এলাকায় যথাক্রমে ভূমি উন্নয়ন ও স্যানিটারি ডাম্পিং এর জন্য নির্ধারিত অঞ্চল এর বিস্তৃতি’র তুলনামূলক বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়। গবেষণা অনুযায়ী, তুরাগ নদে উন্নয়ন কার্যক্রমের নামে ভূমি উন্নয়ন শিরোনামে ২০০৮-২০১৮ সময়কালে ২২৪ একর জমি, বালি ভরাট কার্যক্রম শিরোনামে ১১ একর ও ইট ভাটা স্থাপনে ৮৩ একর অঞ্চল ভরাট করা হয়েছে। গবেষণার দ্বিতীয় অংশে, আমিনবাজারে স্যানিটারি ডাম্পিং এর জন্য নির্ধারিত অঞ্চল ক্রমবর্ধমান বিস্তুৃতি’র তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয় যেখানে দেখা যায়, বিগত ১২ বছরে উল্লিখিত অঞ্চল প্রায় ২০ একর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত হয়েছে।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে এডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সম্প্রতি মহামান্য সুপিম কোর্ট কর্তৃক সাভারে অবৈধভাবে জলাশয় ভরাট করে মধুমতি মডেল টাউন এর হাউজিং গড়ে তোলাকে অবৈধ বলে জলাধার পুনস্থাপনের নির্দেশনাকে আশাব্যাঞ্জক উল্লেখ করে বলেন, পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষাসহ সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধেই সম্মিলিত প্রতিরোধ ও প্রতিবাদ অর্থবহ পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। পরিবেশ সংরক্ষণে অন্যায়-অবিচার রোধে তদারকি প্রতিষ্ঠানসমূহকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার পাশাপাশি নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের সরব ভূমিকা অব্যাহত রাখতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, উন্নয়নের নামে পরিবেশ ও প্রতিবেশ ধ্বংসের সাথে জড়িত প্রত্যেককে দৃষ্টান্তমূলকভাবে আইনের মাধ্যমে কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি, প্রযুক্তনির্ভর গভীর পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা স্থাপন করতে হবে এবং আইন অমান্যকারীকে তাৎক্ষনিকভাবে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার ব্যবস্থা প্রচলন করতে হবে। স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, অত্র অঞ্চলের জলের স্বাভাবিক গতিধারা (Blue network) অব্যাহত রাখার জন্য ‘না-জমি’ শ্রেণীভুক্ত অঞ্চলের ক্ষেত্রে TDR প্রযোজ্য হবেনা। চলমান জলাশয় ভরাট প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সকলকে জনসম্পৃক্ততা (অভিযোগ গ্রহণ, নিবন্ধন, প্রতিকারের ব্যবস্থা ইত্যাদি) নিশ্চিতে উদ্যোগ নিতে হবে এবং দখল/ভরাট প্রতিরোধে প্রযুক্তিনির্ভর পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা স্থাপনে সচেষ্ট হতে হবে। এছাড়া জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে শক্তিশালীকরণ ও সুনির্দিষ্টভাবে ক্ষমতায়ন করতে হবে। ড. ইশরাত ইসলাম বলেন, বিদ্যমান ব্যবস্থার মধ্যেই উন্নয়ন থেকে তদারকি, রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে ক্ষমতা, দায়, আওতা নির্ধারণ করা আছে। একইভাবে সাফল্য ও ব্যর্থতা উভয়ের দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত ব্যতিরেকে এ চলমান দুর্যোগ রোধ করা সম্ভব নয়। বিদ্যমান নীতিকাঠামোর কারণে ড্যাপ ২০১০ এর আলোকে আমরা জলাশয় ভরাটের ভয়াবহ চিত্র সম্পর্কে অবগত হতে পেরেছি,তবে বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন ড্যাপ প্রস্তুতকরণে সকল অংশীজনদের সম্পৃক্ত করতে হবে। খুশী কবির বলেন, জীববৈচিত্র্যের স্বাভাবিকতা বাধাগ্রস্ত হলে তার বিরুপ প্রভাবে সকলেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাই পরিবেশ ও প্রতিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ সকল ধরনের কার্যক্রম প্রতিরোধে সরকারকে সচেষ্ট হতে হবে।
গবেষণাদ্বয়ে উঠে আসা উদ্বেগজনক চিত্রকে দুর্নীতির প্রকট দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘উন্নয়নের নামে এহেন অবৈধতা ও ধ্বংসযজ্ঞ ভূমিদস্যুর সাথে রাজনৈতিক মহল ও স্থানীয় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের একাংশের মধ্যকার ত্রিপক্ষীয় আঁতাত এর কারণে একদিকে যেমন প্রাতিষ্ঠানিকতা লাভ করেছে, অপরদিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত তদারকি প্রতিষ্ঠানসমূহের তীব্র ব্যর্থতা উন্মোচিত করেছে। তথাপি, সম্প্রতি আশাব্যাঞ্জক বিভিন্ন উদাহরনের দৃষ্টান্তের আলোকে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিতের দাবির পাশাপাশি এ ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্তিশালী জনমত গড়ে তুলতে হবে। যদিও আমরা সকলে মিলে এটাই চাই যে, এদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক, কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে আইনের শাসন নিশ্চিত করার দায়িত্ব যাদের তাদের একাংশই আইনের শাসনের ঘাটতিতে লাভবান হন। ভূমি দখল থেকে শুরু করে নদী দখল, জলাশয় দখল এ সমস্তের সাথে যে সব ব্যবসায়ী মহল জড়িত তাদের হাত অনেক সম্প্রসারিত। আইনের প্রয়োগের দায়িত্ব যাদের- তারাই যদি আইনের প্রয়োগহীনতা থেকে লাভবান হন, বিচার নিশ্চিত করার দায়িত্ব যাদের ওপর- তারাই যদি বিচারহীনতাকে প্রশ্রয় দেন, তাহলে এই অবস্থা আরো নেতিবাচক বা খারাপ দিকে যেতে পারে। আমাদেরকে এই পরিস্থিতিতেও আশাবাদী হতে হবে এবং এই আশাবাদের মাধ্যমেই সকলকে সংঘবদ্ধ হয়ে এ সমস্যার উত্তরণে চেষ্টা করতে হবে। ”
গণমাধ্যম যোগাযোগ,
শেখ মন্জুর-ই-আলম
পরিচালক, আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগ
মোবাইল: ০১৭০৮৪৯৫৩৯৫
ই-মেইল: manjur@ti-bangladesh.org