কপ-২৫ জলবায়ু সম্মেলন: জলবায়ু অর্থায়নে দূষণকারী শিল্পোন্নত দেশসমূহের প্রতিশ্রতির বাস্তব অগ্রগতি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দাবি টিআইবি’র

প্রকাশকাল: ২৮ নভেম্বর ২০১৯

জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসি) এর আওতায় ২০১৫ সালে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তি সম্পাদন করে, যা ২০২০ সাল হতে কার্যকর হওয়ার কথা। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে কোপেনহেগেন চুক্তির আওতায় জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত উন্নয়নশীল দেশসমূহের ক্ষতিপূরণ বাবদ উন্নত দেশসমূহ "দূষণকারী কর্তৃক পরিশোধযোগ্য” নীতি অনুসরণে উন্নয়ন সহায়তার ‘অতিরিক্ত’ এবং ‘নতুন’ হিসেবে ২০২০ সাল হতে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের যে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছিল প্যারিস চুক্তির আওতায় ২০২৫ সাল পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ১৩ এর আওতায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় প্রতিশ্রুত তহবিল প্রদানের বিষয়ে শিল্পোন্নত দেশসমূহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর পাশাপাশি ২০১৩ সালে ইউএনএফসিসি’র কনফারেন্স অব পার্টিস (কপ) এর ১৯তম সম্মেলন (কপ১৯) এ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ঝুঁকিতে থাকা উন্নয়নশীল দেশসমূহের ‘ক্ষয়-ক্ষতি’ (loss & damage) মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় অর্থায়নের জন্য কর্মপরিকল্পনা তৈরির সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় (সিদ্ধান্ত ২/সিপি.১৯)। পরবর্তীতে কপ২২ সম্মেলনে ক্যানকুন অভিযোজন ফ্রেমওয়ার্কের অধীনে অনুচ্ছেদ ১৫ অনুসারে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সৃষ্ট ‘আবহাওয়ার আকস্মিক/চরম ঘটনা(এক্রট্রিম ইভেন্ট) ’ ও ‘ধীরগতির মাধ্যমে সংঘটিত ঘটনাসমূহ (স্লো অনসেট ইভেন্ট)’ এর ফলে ‘ক্ষয়-ক্ষতি’ চিহ্নিত করতে “ওয়ারসো ইন্টারন্যাশনাল মেকানিজম” প্রণীত হয় এবং প্যারিস চুক্তিতে তা যুক্ত করা হয়। সর্বশেষ কপ-২৪ সম্মেলনে জলবায়ু অর্থায়নে বাস্তব অগ্রগতি ও ন্যায্যতা নিশ্চিতে স্বচ্ছতা কাঠামো সম্বলিত প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের রূপরেখাও (রুল বুক) চ‚ড়ান্ত করা হয়েছে। স্পেনের মাদ্রিদে আসন্ন কপ-২৫ সম্মেলনে প্রতিশ্রুত জলবায়ু অর্থায়নের পাশাপাশি ‘ ক্ষয়-ক্ষতি’ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কথা। 


Position Paper