Integrity in Public Administration: Policies and Practices

প্রকাশকাল: ২৩ জুন ২০১৯

নির্বাহী বিভাগের বেসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে জনপ্রশাসন গঠিত হয়।জনপ্রশাসনের প্রধান কাজ সরকারের নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন, বিশেষ করে, জনপ্রশাসন সরকারের সকল কার্যক্রমের পরিকল্পনা, সংগঠন, নির্দেশনা, সমন্বয়, এবং নিয়ন্ত্রণ করে। পল এপলবাই ১৯৪৭ সালে জনপ্রশাসনকে সংজ্ঞায়িত করতে গিয়ে বলেছেন, “জনপ্রশাসন হচ্ছে সরকারি কার্যক্রমগুলির বাস্তবায়নে নিয়োজিত সরকারি নেতৃত্ব যা সরাসরি সরকারের সকল নির্বাহী কর্মের জন্য দায়ী"। তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের  ক্ষেত্রে জনপ্রশাসনকে এমন নেতৃত্ব ও নির্বাহী কর্মকান্ডের সাথে সম্পর্কযুক্ত হতে হয় যা নাগরিকের সম্মান, গুরুত্ব এবং ক্ষমতার প্রতি শ্রদ্ধা ও অবদান রাখে।বাংলাদেশের জনপ্রশাসনের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো দুই স্তরবিশিষ্ট-উচ্চস্তর ও নিম্নস্তর। উচ্চস্তর হচ্ছে কেন্দ্রীয় সচিবালয় যা মন্ত্রণালয় ও বিভাগ দ্বারা গঠিত এবং নীতি প্রণয়ন ও প্রধান সিদ্ধান্ত গ্রহণে ন্যস্ত। উচ্চস্তরকে নীতিনির্ধারণী কেন্দ্রও বলা যায়।অন্যদিকে নিম্নস্তর হচ্ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরযা সাধারণ প্রশাসন এবংমাঠ পর্যায়েসেবা প্রদানের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত।বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিভাজন ও তাদের অধস্তন দপ্তর/সংস্থার পদ সৃজন ও বিলোপ, সাংগঠনিক কাঠামো অনুমোদন, নিয়োগ-পদোন্নতি, প্রশিক্ষণ, পদায়ন, বিধিমালা প্রণয়ন, অনুমোদন ও সংশোধনসহ কর্মকর্তাদের আচরণ ও শৃঙ্খলা সম্পর্কিত কার্যক্রম পরিচালনা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

জনপ্রশাসনে শুদ্ধাচার চর্চা সরকার, রাজনীতি, সরকারি-বেসরকারি খাতসহ সমাজের সকল স্তরে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।দেশের রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় খাত সমূহেসুশাসন প্রতিষ্ঠারউদ্দেশ্যে ২০১২ সালে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণীত হয়।এ কৌশলে সার্বিকভাবে ১০টি রাষ্ট্রীয় ও ছয়টি অরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে শুদ্ধাচার চর্চার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়, যার মধ্যে জনপ্রশাসন অন্যতম।মূলত জনপ্রশাসনের মাধ্যমেই সরকারের জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে ‘নৈতিকতা কমিটি’ ও ‘শুদ্ধাচার ফোকাল পয়েন্ট’ গঠিত হয়েছে। তবে ‘জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ২০১২’ প্রণীত হওয়ার পর ছয়বছর অতিবাহিত হলেও জনপ্রশাসনে শুদ্ধাচার চর্চায় এটি কীভাবে এবং কতটুকু বাস্তবায়িত হলো তার কোনো সার্বিক পর্যালোচনা এখনো হয় নি। 

বিস্তারিত জানতে নিচে ক্লিক করুন