সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি প্রতিরোধে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি: অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ

প্রকাশকাল: ১৮ আগস্ট ২০১১

গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই বছর পর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেসব বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয় তার মধ্যে সুশাসন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ অন্যতম। জনগণের দুর্নীতিবিরোধী এবং সুশাসনের চাহিদার সরাসরি প্রতিফলন দেখা যায় প্রধান দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রতিরোধ এবং বিশ্বমন্দার মোকাবিলায় সার্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিশ্চিত করা দারিদ্র্য ও বৈষম্য রোধ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা - এই পাঁচটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। ইশতেহারের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকারের মধ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করা নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার জাতীয় সংসদকে কার্যকর করা দলীয়করণমুক্ত অরাজনৈতিক গণমুখী প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রতিষ্ঠা এবং তথ্য অধিকার প্রতিষ্ঠা ছিল উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও ক্ষমতাধর ও তাদের পরিবারের সম্পেদর হিসাব ও আয়ের উৎস প্রতিবছর জনসমক্ষে প্রকাশ সুনির্দিষ্ট বিষয় ছাড়া সংসদ সদস্যদের ভিন্নমত প্রকাশের অধিকার দেওয়া, এবং স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন গঠন ও ন্যায়পাল নিয়োগের অঙ্গীকার করা হয়।