আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৫

‘‘নতুন বাংলাদেশ’’: চাই নারীর সমঅধিকার ও মর্যাদা

প্রকাশকাল: ০৫ মার্চ ২০২৫

ধারণাপত্র

নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করতে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক নারী দিবস (৮ মার্চ) বিশেষ গুরুত্বসহকারে পালিত হয়। ১৯০৮ সালে নিউইয়র্ক শহরের নারী পোশাক শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার ও কর্মপরিবেশের দাবিতে ধর্মঘট ও তাঁদের সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১৯০৯ সালে প্রথমবারের মতো নারী দিবস উদযাপনের উদ্যোগ গৃহীত হয়। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে আন্তর্জাতিক নারীবর্ষ উপলক্ষে জাতিসংঘ ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ দিনটিকে আন্তর্জাতিকভাবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এ বছর নারী দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে “Accelerate Action ”। জেন্ডার সমতা অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় “অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন নারী ও কন্যার উন্নয়ন” প্রতিপাদ্যে দিবসটি উদযাপন করছে।

জেন্ডার সমতা অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের সংবিধানের ২৮(২) অনুচ্ছেদে “রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী পুরুষের সমান অধিকার” এর কথা বলা হয়েছে। জাতিসংঘের সিডো সনদেও বাংলাদেশ স্বাক্ষরকারী দেশ। যার ধারাবাহিকতায় জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা-২০১১৫ প্রণয়ন এবং “নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে জাতীয় পরিকল্পনা ২০১৩-২০২৫” গ্রহণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (২০২১-২০২৫) এবং বাংলাদেশ প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় (২০২১-২০৪১) নারী-পুরুষ সমতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। আবার, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-৫ অনুযায়ী নারীদের সমঅধিকার এবং নারী ও কন্যাশিশুদের ক্ষমতায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ বাংলাদেশ। উল্লিখিত অঙ্গীকারসমূহ থাকা সত্ত্বেও , নারীদের অধিকার ও উন্নয়ন নিশ্চিতে অনেক ক্ষেত্রেই যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণে বাংলাদেশ শুধু পিছিয়েই নয়, রীতিমতো উল্টো পথে হাঁটছে।

জেন্ডার বৈষম্য ও বাংলাদেশ

ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের বৈশ্বিক জেন্ডার বৈষম্য প্রতিবেদন (গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট) ২০২৪ অনুযায়ী আগের বছরের তুলনায় বিশাল পতন ঘটেছে বাংলাদেশের। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও আগের বছরের তুলনায় ৪০ ধাপ পিছিয়ে ১৪৬ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৯তম। প্রতিবেদন অনুযায়ী, অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণে ও সুযোগ সৃষ্টির দিক থেকে এবারের সূচকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পতন হয়েছে। মাত্র ০.৩১১ স্কোর নিয়ে ১৪৬টি দেশের মধ্যে শেষ অবস্থানে বাংলাদেশ। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবাপ্রাপ্তিতে বাংলাদেশে নারী ও পুরুষের মধ্যে বৈষম্য আরও বেড়েছে। তা ছাড়া, ছয় বছর আগের তুলনায় বাংলাদেশে নারী-পুরুষের আয় বৈষম্য বেড়ে পাঁচ গুণ হয়েছে। পেশাজীবী ও প্রযুক্তিগত চাকরিতে নারীরা মোট কর্মসংস্থানের মাত্র এক-পঞ্চমাংশের মতো। অর্থাৎ কর্মক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠ পদে নারীর অনুপাত কমেছে।

পুরো ধারণাপত্রের জন্য এখানে ক্লিক করুন


Concept Note