একবিংশ শতকের তথ্য প্রযুক্তির এই বিশ্বে তথ্য পাওয়া ও জানার অধিকার যে কোনো দেশের নাগরিকদের অনেকটাই মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। যার প্রথম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আসে ২০১৫ সালে ইউনেস্কোর ৩৮ তম সম্মলেনে ২৮ সেপ্টেম্বরকে ‘আন্তর্জাতিক সার্বজনীন তথ্য অধিকার দিবস’ ঘোষণার মাধ্যমে। যা গেলো বছর অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে গৃহীত হয় ‘আন্তর্জাতিক সার্বজনীন তথ্যে অভিগম্যতা দিবস’ (International Day for the Universal Access to Information) হিসেবে। যদিও এমন স্বীকৃতি আদায়ের প্রথম প্রচেষ্টা বা দাবি বেসরকারি তথা নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয় ২০০২ সালে বুলগেরিয়ার সোফিয়ায় অনুষ্ঠিত তথ্য অধিকার কর্মীদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে।
দিবস পালনের আনুষ্ঠানিকতাই নয় তথ্য পাবার অধিকারের আইনি ভিত্তি দিতে দেশে দেশে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন ও কার্যকর করা হচ্ছে। চলতি বছর পর্যন্ত ১২৮টি দেশে তথ্য অধিকার আইন প্রণীত হয়েছে। সংবিধানে(৩৯ অনুচ্ছেদ) নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে চিন্তা, বিবেক ও মত প্রকাশের যে স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে তার প্রায়োগিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে ২০০৯ সালে তথ্য অধিকার আইন পাশ করে বাংলাদেশও। এর বাইরে ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২০৩০’ বা এসডিজির ১৬ অভীষ্টে জাতীয় আইন ও আন্তর্জাতিক চুক্তির ভিত্তিতে তথ্য পাওয়ার অবাধ সুযোগ নিশ্চিত করার ও মৌলিক স্বাধীনতার সুরক্ষা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে (লক্ষ্য ১৬.১০)।