প্রকাশকাল: ৩১ আগস্ট ২০১৩
জনগনের প্রতিনিধি হিসেবে মাননীয় সংসদ সদস্যদের অবস্থান মর্যাদাপূর্ণ। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এবং দেশের উন্নয়নে সংসদ সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্য অপরিসীম। সংসদ সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের পাশাপাশি জনগণের নিকট জবাবদিহিতার বাধ্যবাধকতা থাকলে সংসদ সদস্যদের সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু ইতিহাস থেকে দেখা গেছে, স্বাধীনতার পর থেকেই দেশের কিছু গণপরিষদ সদস্যের আচরণ নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। কারো কারো বিরুদ্ধে হানাদার পাকিস্তানীদের সঙ্গে আঁতাত, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ওঠে। সে সময় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়দার লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ গণপরিষদের সদস্যপদ বাতিল সংক্রান্ত একটি নির্দেশ জারি করা হয়। ওই নির্দেশের আলোকে ৬ এপ্রিল ১৯৭২ তারিখে ১৬ জন সদস্যকে দুর্নীতির অভিযোগে গণপরিষদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরবর্তীতে ২২ সেপ্টেম্বর আরও ১৯ জনের গণপরিষদ সদস্যপদ খারিজ করা হয়। দুর্ভাগ্যবশত পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে অনেক সংসদ সদস্যদের নৈতিকতার মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তারা বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন যা সংষসদ সদস্য হিসেবে তাঁদের পদমর্যাদা এবং অধিকারের সাথে সাংঘর্ষিক।