প্রকাশকাল: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মাধ্যমে যৌথভাবে বাস্তবায়িত ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রিফর্ম প্রজেক্ট টু’ (২০০৮-২০১৬) এর অন্যতম উপাদান হিসেবেই-গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (সংক্ষেপে ই-জিপি) প্রবর্তিত হয়। ২০২১ সালের মধ্যে সমস্ত সরকারি পরিষেবা ডিজিটাল করার সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ২০১১ সালের ২ জুন থেকে সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা নিশ্চিত করতে ‘সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট’ (সিপিটিইউ) ই-জিপি পোর্টাল চালু করে। একইসাথে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬ (ধারা ৬৫) ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০০৮ (বিধি-১২৮) অনুসারে ‘বাংলাদেশ ই-গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) গাইডলাইন ২০১১’ প্রণয়ন করা হয়।
প্রাথমিকভাবে চারটি প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করেই-জিপি বাস্তবায়ন শুরু হয় - স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), সড়ক ও জনপথ (সওজ), পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), এবং পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। বর্তমানে ই-জিপি বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রকল্প (ডিআইএমএপিপিপি) ডিজিটালকরণ চলমান, যা বাস্তবায়নের সময় ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। সব প্রতিষ্ঠানের ই-জিপি ব্যবস্থাপনা করছে সিপিটিইউ। এপ্রিল ২০১৯ পর্যন্ততথ্য অনুযায়ী ই-জিপি’তে ৪৭টি মন্ত্রণালয়, ২৭টি বিভাগ, ১,৩৬২টি সরকারি ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান, এবং ৬১,৪১৭টি দরপত্রদাতা নিবন্ধিত রয়েছে। ই-জিপি’কে সহজ করার জন্য সিপিটিইউ-এর উদ্যোগে ই-জিপি’র ওপর প্রায় ১৬,০০০ বিভিন্ন অংশীজনকে (ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, ঠিকাদার) প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
বিস্তারিত জানতে নিচে ক্লিক করুন