Parliament Watch: 10th National Parliament (7th – 13th Session)

প্রকাশকাল: ০৯ এপ্রিল ২০১৭

সংসদীয় গণতন্ত্রের মূল উদ্দেশ্য হলো সংসদে আলোচনা করে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, দেশের স্বার্থে আইন প্রণয়ন, জাতীয় স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে ঐকমত্যে পৌঁছানো, এবং সেই সাথে দেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা ও বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দেশের নেতৃত্ব দেওয়া। সংসদের কাজকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়: প্রতিনিধিত্ব, আইন প্রণয়ন ও তদারকি। জনপ্রতিনিধিগণ প্রশ্নোত্তর পর্ব, জনগুরুত্বসম্পন্ন নোটিস, বিধি অনুযায়ী বিভিন্ন বক্তব্য, আইন প্রণয়ন এবং কমিটি কার্যক্রমের মাধ্যমে সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারেন।

স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠায় সরকার দলের পাশাপাশি বিরোধী দলের ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংসদ নির্বাচনগুলোতে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে সংসদকে কার্যকর করা একটি উল্লেখযোগ্য অঙ্গীকার হিসেবে লক্ষণীয়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ১৯৭২ সাল থেকে আইপিইউ (ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন) এবং ১৯৭৩ সাল থেকে সিপিএ (কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন)-র সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এদের উদ্দেশ্য হল, দেশের উন্নয়নের জন্য সংসদ সদস্যদের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং বিভিন্ন ইতিবাচক উদ্যোগ সংশ্লিষ্ট দেশের শাসন ব্যবস্থায় সন্নিবেশিত করা। বিশ্বব্যাপি প্রায় ২০০টি পার্লামেন্টারি মনিটরিং অর্গানাইজেশন ৮০টিরও বেশী দেশের সংসদীয় কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে সংসদীয় গণতন্ত্রে সুশাসন, জনগণের কাছে সংসদের জবাবদিহিতা, আইন প্রণয়নে জনগণের অংশগ্রহণ, সংসদীয় কার্যক্রমের তথ্যের অভিগম্যতা ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে। প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে সংসদীয় কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সুপারিশ করে থাকে।

সরকারের জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে এবং দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে সংসদীয় কার্যক্রমের ভূমিকার কথা বিবেচনায় রেখে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) অষ্টম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন থেকে সংসদ কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এই প্রতিবেদনটি এই সিরিজের ১৩তম এবং দশম জাতীয় সংসদের ওপর তৃতীয় প্রতিবেদন।

বিস্তারিত জানতে নিচে ক্লিক করুন-