২০০৭-৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের একাংশের ভূমিকা: একটি পর্যালোচনা

প্রকাশকাল: ০১ মার্চ ২০১৩

বাংলাদেশে ২০০৬ সালের অক্টোবর মাসে সকলের কাছে একটি গ্রহণযোগ্য ‘নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ও তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগের দাবির পরিপ্রেক্ষিত দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ঘন-ঘন হরতাল ও অবরোধের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরসহ প্রায় সারা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও জনজীবনে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এসব ঘটনায় দেশের অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড-সংকটের মুখে পতিত হয়। আর রাজপথে পরস্পরবিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পঞ্চাশ জনের অধিক ব্যক্তির প্রাণহানি ঘটে (ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ, ২০০৮: ৫)।

তৎকালীন সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অনুযায়ী যাঁর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হওয়ার কথা, তাঁর সম্পর্কেও দলীয় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনা হয়। অব্যাহত বিরোধিতার মুখে তিনি নিজ থেকে এই দায়িত্ব গ্রহণ হতে বিরত থাকবেন বলে ঘোষণা দেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি নিজেই তাঁর দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন । উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিক প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করেছেন কি-না তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে (আখতার, ২০০৯: ৫৫)।

রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না করে ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে সচেষ্ট থাকে।

বিস্তারিত জানতে নিচে ক্লিক করুন