প্রকাশকাল: ২৫ মার্চ ২০১৩
জলবায়ু অর্থায়নে সততা ও স্বচ্ছতা আনয়নে এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতে সুপারিশ
গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ২০১২ এর সূচকে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও হন্ডুরাসকে আগামী বিশ বছরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ক্রমেই বেড়ে চললেও সম্ভাব্য ও অঙ্গীকারকৃত সকল উৎস হতে অর্থ সরবরাহ প্রয়োজন অনুপাতে খুব সামান্য। বর্তমান আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উৎসসমূহ থেকে অভিযোজন তহবিলের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ প্রাপ্তি অনিশ্চিত। এ প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার জাতীয় রাজস্ব বাজেট থেকে ২০১২-১৩ অর্থ বছর পর্যন্ত জাতীয় জলবায়ু তহবিল বিসিসিটিএফ এ প্রায় ৩৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করেছে, অন্যদিকে দুষণকারী দেশগুলো বিসিসিআরএফ এর তহবিলে এ পর্যন্ত মাত্র ১৭০ মিলিয়ন ডলার অর্থের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছে, যার মধ্যে মাত্র ১৫২ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন করেছে। উল্লেখ্য, জলবায়ু তহবিলের অর্থ উনড়বয়ন সহায়তার বাইরে ‘নতুন ও অতিরিক্ত’ হিসেবে প্রদানের কথা থাকলেও ক্ষতিপূরণ প্রদানকারী দেশসমূহ অনেক ক্ষেত্রেই সে নীতি মেনে চলছেনা। ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহ অভিযোগ করছে, আন্তর্জাতিকভাবে ‘ফার্স্ট স্টার্ট তহবিল’ এর প্রতিশ্রুত ৩০ বিলিয়ন ডলারের মাত্র এক-দশমাংশ প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া, ২০১৩-২০২০ এ সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহকে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের বিষয়টি পুরোপুরি অনিশ্চিত।
পুরো পলিসির জন্য ক্লিক করুন