বাংলাদেশে ক্রিকেট ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ উত্থাপনে টিআইবি উদ্বিগ্ন, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি
ঢাকা, ১৪ আগস্ট ২০১৩: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) ম্যাচ পাতানোর ঘটনায় কয়েকজন খেলোয়াড় ও কর্মকর্তা জড়িত মর্মে আকসু’র গতকাল মঙ্গলবার প্রতিবেদন প্রকাশের প্রেক্ষিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আজ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণপূর্বক ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। একইসাথে আন্তর্জাতিক তদন্তের ওপর নির্ভরতার পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সস্পূর্ণ নিরপেক্ষ বিচারিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা এবং আইসিসি কে তাদের দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমকে পূনর্মূল্যায়ণ এবং জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়।
এক বিবৃতিতে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “গতকাল ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য এক কালো দিবস। আপামর ক্রিকেটপ্রেমীদে মতো টিআইবিও দেশের জন্য সম্মানহানিকর এবং কলঙ্কজনক এই ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। টিআইবি মনে করে খেলার মাঠে বা বাইরে ক্রিকেটারদের সম্ভাব্য অসদাচরণের ঝুঁকি ছাড়াও অপরাপর ঝুঁকিসমূহও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ, যেমন: সকল স্টেকহোল্ডার, বিশেষ করে বোর্ড, ব্যবস্থাপনা, স্পন্সরশীপ, বিজ্ঞাপন ও প্রচারণার সাথে জড়িত সকল মহলের পেশাদারিত্বের ঘাটতি, স্বার্থের দ্বন্দ্ব, রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক ও প্রশাসনিক প্রভাব, স্বজনপ্রীতি এবং অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের মত অনিয়মের বিষয়গুলো। এবিষয়গুলোর অবনতি এড়াতে জাতীয় ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সকল মহলের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অপরিহার্য।”
তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনকে দুর্নীতিমুক্ত রাখা ও এই জনপ্রিয় ও অপার সম্ভাবনাময় খেলায় সুশাসন প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কর্তৃপক্ষ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে এদেশের কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমী মানুষের আস্থা পুনরুদ্ধারে উদ্যোগী হবেন।”
উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলায় জুয়াড়িদের সহায়তায় ম্যাচ পাতানোর ঘটনাগুলো ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতে ২০১১ সালের ডিসেম্বরে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি’র কাছে বিশ্বের ক্রিকেটাঙ্গনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় একগুচ্ছ পরামর্শ প্রদান করেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় টিআইবি ২০১১ সালের ডিসেম্বরে এক পত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনকে কলুষমুক্ত রাখার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছিল।