তৈরি পোশাক খাতে সমন্বিত আচরণবিধি প্রণয়নের উদ্যোগে টিআইবির আশাবাদ; সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনকে সম্পৃক্ত করার আহ্বান

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি  

তৈরি পোশাক খাতে সমন্বিত আচরণবিধি প্রণয়নের উদ্যোগে টিআইবির আশাবাদসংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনকে সম্পৃক্ত করার আহ্বান

 

ঢাকা১১ জানুয়ারি ২০২২: বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং বাংলাদেশ নীটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ) যৌথভাবে তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য একটি ইউনিফায়েড কোড অব কন্ডাক্ট বা সমন্বিত আচরণবিধি প্রণয়নের উদ্যোগের সংবাদে আশাবাদ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। কার্যকর একটি আচরণবিধি প্রণয়নে তৈরি পোশাক খাতের কর্মী ও শ্রমিক সংগঠননিরাপদ ও অধিকারভিত্তিক কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে কর্মরত গবেষণা ও সামাজিক সংগঠনসহ সকল অংশীজনকে যুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। 

 গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “তৈরি পোশাক খাত নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিতে দেশি বিদেশী যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে রানা প্লাজা দূর্ঘটনা পরবর্তী ভাবমূর্তি সংকট অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে পেরেছেযদিও এ খাতে কাঙ্খিত অগ্রগতি অর্জনে এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। এমন বাস্তবতায় একটি ইউনিফায়েড কোড অব কন্ডাক্ট বা সমন্বিত আচরণবিধি প্রণয়নে এই খাতের শীর্ষ দুই সংগঠন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ-র যৌথ উদ্যোগ একটি সময়োচিত পদক্ষেপ। স্থানীয় আইনবিধি ও নীতিমালাএবং জাতিসংঘের ব্যবসা ও মানবাধিকার সংক্রান্ত নীতি পরামর্শসহ (ইউএনজিপি) ক্রেতাদের কোড অব কন্ডাক্ট এবং থার্ড পার্টি অডিট প্রটোকলসমূহ পর্যালোচনার পাশাপাশি শ্রমিক অধিকারনিরাপত্তা ও কল্যাণসহ এ খাত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সকল অংশীজনকে সম্পৃক্ত করে একটি সমন্বিত আচরণবিধি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা গেলে এটি যেমন খাতের কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে তেমনি বিশ্বমঞ্চে একটি উদাহরণও তৈরি করা সম্ভব হবে। এ ধরণের আচরণবিধি প্রণয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলে বর্ণিত “দায়বদ্ধ ও গণমুখী খাত” হিসেবে দেশের পোশাক শিল্পকে গড়ে তোলার প্রত্যয় ও নির্দেশকের ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা উচিত। এ উদ্যোগকে নিছক আনুষ্ঠানিকতা থেকে উত্তীর্ণ করে যথাযথ কার্যকর করে তুলতে হলে এই আচরণবিধি প্রণয়ণের প্রক্রিয়ায় সরকারশ্রমিক সংগঠনশ্রমিক অধিকারনিরাপত্তা ও কল্যাণসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কর্মরত নাগরিক সংগঠন ও গবেষণা সংস্থার প্রতিনিধিসহ সকল অংশীজনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।” 

তৈরি পোশাক খাতে সুশাসন: অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক টিআইবির পূর্ববর্তী গবেষণা প্রতিবেদনের সূত্র ধরে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “সকল অংশীজনের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে পারলে প্রস্তাবিত আচরণবিধি তৈরি পোশাক খাতে আইন প্রয়োগব্যবসা বান্ধব নীতি সহায়তাপ্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও কারখানার নিরাপত্তা বৃদ্ধিজবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণশ্রমিক অধিকার ও সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং শুদ্ধাচার চর্চার ক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো দূর করতে সহযোগিতা করবে। তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিক অধিকার বিশেষ করে মজুরিঅতিরিক্ত কর্মঘন্টাছুটি ইত্যাদি ক্ষেত্রে শ্রমিকের আইনগত অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে ভয়-ভীতিহীন শান্তিপূর্ণ শ্রম পরিবেশ সৃষ্টি করাসাব-কন্ট্রাক্টনির্ভর ও ক্ষুদ্র কারখানার কমপ্লায়েন্সের আওতায় আনাশ্রমিকদের কেন্দ্রীয় তথ্য ভান্ডার তৈরি এবং সার্বিকভাবে খাতটিতে সুশাসন নিশ্চিতে তদারকি ও সমন্বয়ের জন্য একক কর্তৃপক্ষ গঠনের মতো বিষয়গুলো বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত হবে বলেও প্রত্যাশা করে টিআইবি।” 

 

গণমাধ্যম যোগাযোগ: 

শেখ মন্‌জুর-ই-আলম 

পরিচালক (আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন) 

মোবাইল: ০১৭০৮৪৯৫৩৯৫ 

ই-মেইল: manjur@ti-bangladesh.org 


Press Release