বৈশ্বিক ক্লাইমেট অ্যাকশন দিবস: প্রতিশ্রুত কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও স্বল্পোন্নত রাষ্ট্রসমূহের জন্য পর্যাপ্ত অভিযোজন তহবিলের নিশ্চয়তা চায় টিআইবি
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
বৈশ্বিকক্লাইমেট অ্যাকশন দিবস:
প্রতিশ্রুত প্রশমন কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও স্বল্পোন্নত রাষ্ট্রসমূহের জন্য পর্যাপ্ত অভিযোজন
তহবিলের নিশ্চয়তা চায় টিআইবি
ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০: জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে বৈশ্বিক পর্যায়ে স্কুলশিক্ষার্থীদের পরিচালিত আন্দোলন ‘ফ্রাইডেস ফর ফিউচার’-এর উদ্যোগে ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ প্রথমবারের মতো ‘বৈশ্বিক ক্লাইমেট এ্যাকশন দিবস’ পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী দূষণমূলক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে সারাবিশ্বের স্কুলশিক্ষার্থীদের নৈতিক এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। একইসাথে, ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় অভিযোজন এবং প্রশমনের জন্য টিআইবি শিল্পোন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত অনুদানভিত্তিক তহবিল প্রদানের দাবি জানাচ্ছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক ঝুঁকি বাড়ার প্রেক্ষিতে বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রশমনে প্রাক্শিল্পায়ন যুগের তুলনায় তাপমাত্রা কমপক্ষে ২ ডিগ্রি ও ক্রমান্বয়ে তা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে সীমিত রাখার যে লক্ষ্যমাত্রা প্যারিস চুক্তিতে নির্ধারিত হয়েছিল, তা উপেক্ষার কোনো সুযোগ নেই।” ড. জামান মনে করেন, বর্তমান কোভিড-১৯ সংকটের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের নামে শিল্পোন্নত দেশসমূহের উদ্যোগে গ্রিন রিকভারির প্রস্তাব করা হলেও প্রধান কার্বন-নিঃসরণকারী যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ এ ব্যাপারে উল্টো অবস্থান গ্রহণ করায় বৈশ্বিক গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণের ঝুঁকি উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে।
জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহের জন্য প্যারিস চুক্তিতে ২০২০ সাল থেকে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি থাকলেও বাস্তবে সামান্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে উল্লেখ করে ড. জামান বলছেন, “কোভিড-১৯ উদ্ভূত সংকটের পাশাপাশি উপর্যুপরি বিভিন্ন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে সবুজ জলবায়ু তহবিল থেকে অভিযোজন এবং প্রশমন বাবদ প্রাপ্য অনুদান প্রদানে শিল্পোন্নত দেশসমূহকে দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য পথ নকশা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে এবং সেক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে, বাংলাদেশের ও প্রতিশ্রুত প্রশমন কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরিবর্তে উল্টো জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যাবহারে অগ্রাধিকার প্রদানের মতো প্রকৃতি ও পরিবেশ বিধ্বংশী কার্যক্রম গ্রহণ থেকে সরে আসার আহবান জানাচ্ছি।”
চলমান অতিমারির সুযোগ নিয়ে শিল্পোন্নত দেশগুলোর গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ বৃদ্ধি এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহের প্রতিশ্রুত ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা না হলে ভবিষ্যতে বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট চরম আকার ধারণ করবে বলে মনে করে টিআইবি। তাই শিল্পোন্নত রাষ্ট্রসমূহের প্যারিস অঙ্গীকার মেনে জলবায়ু প্রশমনে অনতিবিলম্বে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানো ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহকে প্রতিশ্রুত তহবিল নিশ্চিতে স্কুলশিক্ষার্থীদের ‘ফ্রাইডেস ফর ফিউচার’ আন্দোলনকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে টিআইবি।