‘তৈরি পোশাক খাতে সুশাসন: অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে কোনো কোনো গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে টিআইবির ব্যাখ্যা
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
‘তৈরি পোশাক খাতে সুশাসন: অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে কোনো কোনো গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে টিআইবির ব্যাখ্যা
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০১৯: ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল ২০১৯) এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ‘তৈরি পোশাক খাতে সুশাসন: অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনটির ওপর ভিত্তি করে কোনো কোনো গণমাধ্যম যেভাবে সংবাদ প্রকাশ করেছে তা তৈরি পোশাক শিল্প খাতসংশ্লিষ্টদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির ঝুঁকি রয়েছে বলে প্রতীয়মান হওয়ায় টিআইবি নিম্নলিখিত ব্যাখ্যা প্রদান করছে -
গণমাধ্যমসমূহ যেভাবে প্রকাশ করেছে
প্রকাশিত একাধিক সংবাদ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, “মজুরি বোর্ড নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি অনুসারে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকগণ শ্রমিকদের মূল মজুরি ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি করেছেন দাবি করা হলেও প্রকৃত হিসেবে তা না বেড়ে বরং ২৬ শতাংশ কমেছে।”
টিআইবির বক্তব্য
যেসব শ্রমিক ২০১৩ হতে ২০১৮ পর্যন্ত কর্মরত রয়েছেন তাদের মূল মজুরি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আইনসিদ্ধভাবে ৫ শতাংশ হারে বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট আমলে নেওয়ার বাধ্যবাধকতা মানা হয়নি (শর্ত ৪, বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন, এস, আর, ও নম্বর ৩৪৮ - আইন/২৫ নভেম্বর ২০১৮)। ফলে তাদের ক্ষেত্রে প্রকৃত হিসেবে মূল মজুরির ওপর বাৎসরিক ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধির সাথে ঘোষিত বেতন বৃদ্ধি যুক্ত হলে যে পরিমাণ নতুন মূল মজুরি হওয়ার কথা তার তুলনায় শ্রমিকরা বিভিন্ন গ্রেডে ২৩ থেকে ৩৬ শতাংশ এবং গড়ে ২৬ শতাংশ কম পাচ্ছেন। অনুরূপভাবে, যে সকল শ্রমিক ২০১৩-২০১৮ পর্যায়ে অন্যান্য বিভিন্ন মেয়াদে (১ বছর - ৪ বছর) কর্মরত আছেন তাদের ক্ষেত্রেও প্রতিবছরের জন্য ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট দেওয়ার পর মজুরি বৃদ্ধি কার্যকর করা হচ্ছে না। ফলে তারাও বিভিন্ন হারে বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন।
উপরোক্ত বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রকাশের উদ্যোগ নিলে তৈরি পোশাক শিল্প খাতসংশ্লিষ্টদের মধ্যে বিভ্রান্তির ঝুঁকি দূর হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।