রোহিঙ্গা নিধনে মানবতাবিরোধী অপরাধ বিষয়ে আইসিসি’তে পর্যবেক্ষণ পাঠানোর তাগিদ টিআইবি’র

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
 
রোহিঙ্গা নিধনে মানবতাবিরোধী অপরাধ বিষয়ে আইসিসি’তে পর্যবেক্ষণ পাঠানোর তাগিদ টিআইবি’র
 
ঢাকা, ২৯ মে ২০১৮: মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর সম্প্রতি পরিচালিত পরিকল্পিত গণনৃশংসতা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)-এ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণ ও পর্যবেক্ষণসহ আনুষ্ঠানিক অভিমত ব্যক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এ সংক্রান্ত বাংলাদেশের পর্যবেক্ষণ মিয়ানমার সেনাবাহিনী পরিচালিত মানবতাবিরোধী ভয়াবহ নৃশংসতা বিষয়ে আইসিসি’র আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরুর মাদ্যমে ন্যায়বিচার প্রাপ্তির সম্ভাবনার পাশাপাশি মিয়ানমার ও প্রশ্রয়দানকারী রাষ্ট্রসমূহের উপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টিতে সহায়ক হবে বলে মনে করে টিআইবি। 
সম্প্রতি আইসিসি’র প্রাক-বিচারিক শুনানিতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের আদি নিবাস থেকে নিধন ও নিপীড়নে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংস ভূমিকা সম্পর্কে তদন্তের পূর্বে বাংলাদেশের অভিমত জানার সিদ্ধান্ত ও পরবর্তীতে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষণ ও সাক্ষ্য-প্রমাণসহ অভিমত ১১ জুনের মধ্যে পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে আইসিসি থেকে চিঠি পাঠানো হয়। গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ সরকার এখনও এর সুনির্দিষ্ট জবাব প্রদান নিয়ে দোলাচলে রয়েছে। 
আজ এক বিবৃতিতে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘‘বাংলাদেশের উপর অন্যায়ভাবে চাপিয়ে দেয়া দশ লক্ষ রোহিঙ্গা শরনার্থীর অভূতপূর্ব এ বোঝা ও দায় মিয়ানমার সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। জাতিগত নিধনের লক্ষ্যে পরিচালিত মায়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক মানবতাবিরোধী অপরাধ তথা হত্যাযজ্ঞ ও নৃশংসতার ব্যাপারে ন্যায়বিচারে আশার আলো হয়ে দেখা দিয়েছে আইসিসি’র এ উদ্যোগ এবং নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের দ্ব্যর্থহীন অবস্থান পুরো প্রক্রিয়াটিকে গতিশীল করে তুলবে। মুক্তিযুদ্ধে ভয়াবহ যুদ্ধাপরাধের শিকার বাংলাদেশ মানবতাবিরোধী অপরাধের ন্যায়বিচারের দাবিতে সদা সোচ্চার থাকবে, এদেশের জনগণের এই প্রত্যাশা পূরণের দায়িত্ব সরকারের। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সাথে ঘটে যাওয়া নৃশংসতার বিরুদ্ধে আইসিসি’তে অভিমত, তথ্য-প্রমাণ সহ মতামত প্রেরণ হবে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।” এছাড়া আইসিসি’র সদস্য রাষ্ট্র ও রোম সংবিধি অনুমোদনকারী হিসেবে নৈতিকভাবে বাংলাদেশ গণনৃশংসতাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার সপক্ষের অংশ হিসেবে এ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে জানান ড. জামান।     
তিনি আরো বলেন, ‘‘এর ফলে একই সঙ্গে জাতিসংঘসহ যে সকল আন্তর্জাতিক মহল নিস্ক্রিয়ভাবে দীর্ঘদিন মিয়ানমার সেনাবাহিনী পরিচালিত জাতিগত নিধনের প্রস্তুতিপর্বে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে তাদেরও জবাবদিহিতার ঐতিহাসিক সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।” 
 
গণমাধ্যম যোগাযোগ:
শেখ মনজুর-ই-আলম
পরিচালক
আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগ
ই-মেইল:  manjur@ti-bangladesh.org 
 

Press Release