সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রস্তাবিত সরকারি কর্মচারী আইনে সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেফতারের আগে পূর্ব অনুমতির বিধানসহ বেশ কিছু বিতর্কিত ধারা সম্পর্কে টিআইবি’র উদ্বেগ
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০১৮: গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ‘সরকারি কর্মচারী আইন, ২০১৭’ এর খসড়ার বিভিন্ন ধারা বিশ্লেষণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক গঠিত উপকমিটির প্রতিবেদনে বেশ কিছু বিতর্কিত ধারা অন্তর্ভুক্ত থাকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। দক্ষ, জনবান্ধব, স¦চ্ছ ও জবাবদিহিমূলক জনপ্রশাসন নিশ্চিতে খসড়া আইনটির বেশ কিছু বিধান পুনর্বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।
আজ এক বিবৃতিতে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘‘খসড়া সরকারি চাকুরী আইন (২০১৮) এর নতুন প্রস্তাবনা অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের আগে পূর্বানুমতি গ্রহণ, এক বছরের বেশি কারও সাজা হলে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত না করা, আদালত কর্তৃক কারাদন্ডপ্রাপ্ত ও চাকরি হতে বরখাস্ত বা অপসারণকৃত কোনো ব্যক্তিকে বরখাস্ত বা অপসারণ হতে অব্যাহতি প্রদানের সুযোগ রাখাসহ বেশ কিছু বিতর্কিত ধারা বহাল রাখা হয়েছে। উল্লিখিত ধারাসমূহ প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের উন্নততর পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষ জনপ্রশাসন নিশ্চিতের পরিপন্থী ও উদ্বেগজনক।”
ড. জামান আরো বলেন, ‘‘দায়িত্ব পালনজনিত কারণে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা হলে চার্জশিট দেওয়ার আগে গ্রেফতার করতে সরকারের অনুমতি গ্রহণের যে বিধান বহাল রাখা হয়েছে তা বৈষম্যমূলক ও সাংবিধানিক চেতনার পরিপন্থি। বিশেষ করে সরকারি খাতে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার সরকারি অঙ্গিকারের সাথে ধারাটি যেমন সাংঘর্ষিক, তেমনি এর মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনের ক্ষমতা ব্যাপকভাবে খর্ব করার ঝুঁকি সৃষ্টি হবে। ধারাটি বাতিল করতে হবে, অন্যদিকে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের উন্নততর পেশাদারিত্ব, মেধা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা ভিত্তিক মূল্যায়ন এবং বিশেষ করে জনপ্রশাসন যেন দলীয় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে যেকোনো ধরনের ভয়-ভীতি ও চাপের ঊর্ধ্বে থেকে সততা ও স্বচ্ছতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে পারে তার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতে খসড়া আইনটির নতুন প্রস্তবনার উপরোক্ত অন্যান্য ধারাসমূহ বাদ দেয়া জরুরি। পাশাপাশি এটাও নিশ্চিত করতে হবে যেন জনপ্রশাসনে মেধা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার অবমূল্যায়ন না হয়।”
এছাড়া সামগ্রিক স্বচ্ছতার স্বার্থে আইনটির নতুন প্রস্তাবনাসহ পূর্ণ খসড়াটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সকলের জন্য প্রকাশ করে এ বিষয়ে অনলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞসহ সকলের মতামত প্রদানের সুযোগ সৃষ্টির আহ্বান জানান ড. জামান।
গণমাধ্যম যোগাযোগ,
মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম
উর্দ্ধতন কর্মসূচী ব্যবস্থাপক, আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন
মোবাইল: ০১৭১৪ ০৯২৮৬৪
ই-মেইল: zahid@ti-bangladesh.org