দুর্যোগ মোকাবেলায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ উত্তরণে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি


দুর্যোগ মোকাবেলায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ উত্তরণে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণের 
আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি


ঢাকা, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭: দুর্যোগ মোকাবেলায় সম্ভাব্য ঝুঁকিসমূহ চিহ্নিত করে ত্রাণ বরাদ্দ ও বিতরণে স্বচ্ছতা, ন্যায্য বণ্টন এবং কার্যকর জবাবদিহিতার আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ সংস্থাটির ধানমন্ডিস্থ কার্যালয়ে ‘ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু: দুর্যোগ মোকাবেলায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে এ সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরেন টিআইবি’র সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার এম. জাকির হোসেন খান, সিএফজি এবং রিসার্চ এ্যান্ড পলিসি বিভাগের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার নিহার রঞ্জন রায়। উক্ত গবেষণায় আরো সংযুক্ত ছিলেন রিসার্চ এ্যান্ড পলিসি বিভাগের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাহিদ শারমীন ও নেওয়াজুল মওলা, ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার রিসার্চ, সিএফজি। টিআইবি’র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপ-নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের এবং রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসান।

ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু মোকাবেলায় গৃহীত পদক্ষেপে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও তার কারণ, ফলাফল ও প্রভাব চিহ্নিত করা এবং গবেষণায় প্রাপ্ত চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলায় সুপারিশ প্রদান করার উদ্দেশ্যে এই গবেষণাটি পরিচালিত হয়। সরকারিভাবে ঘূর্ণিঝড় পূর্ব প্রস্তুতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং ঘূর্ণিঝড় পরবর্তীতে জরুরি সাড়া প্রদান, ত্রাণ কার্যক্রম এবং জরুরি পুনর্বাসন কার্যক্রম এবং বেসরকারিভাবে উপকারভোগী নির্বাচন এবং ত্রাণ কার্যক্রম এই গবেষণার অন্তর্ভুক্ত। ২০১৬ সালের মে মাস থেকে শুরু করে ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত গবেষণার তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং প্রতিবেদন প্রণয়নের কাজ সম্পন্ন করা হয়। এই গবেষণায় সরকার কর্তৃক উপরোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে সুশাসনের প্রধান চারটি নির্দেশক - স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, জনঅংশগ্রহণ ও শুদ্ধাচারের আলোকে তথ্য সংগৃহীত ও বিশ্লেষিত হয়েছে।  

গবেষণায় তথ্য সংগ্রহের জন্য ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ১৫টি জেলার মধ্যে জেলাভিত্তিক সবচেয়ে বেশি মৃতের সংখ্যা, বেশি ক্ষতির শিকার খানা ও বাড়ির সংখ্যা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বিবেচনায় নির্বাচিত পাঁচটি জেলার (চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, লক্ষ্মীপুর, ভোলা ও বরগুনা) নির্বাচিত প্রত্যেক জেলা হতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ১টি এবং তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিগ্রস্ত ১টি উপজেলা বাছাই করে প্রত্যেকটি উপজেলা হতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১টি করে মোট ১০টি ইউনিয়ন তথ্য সংগ্রহের জন্য বাছাই করা হয়েছে। তবে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়, জেলা এবং উপজেলা থেকে সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষিত করা হয়েছে। এটি একটি গুণগত গবেষণা হলেও এতে অংশগ্রহণমূলক পরিসংখ্যান ব্যবহৃত হয়েছে। গবেষণায় প্রত্যক্ষ তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতির মধ্যে ছিল - মুখ্য তথ্যদাতার সাক্ষাৎকার, ফোকাস দলীয় আলোচনা এবং কমিউনিটি স্কোরকার্ড। তথ্য সংগ্রহে মুখ্য তথ্যদাতা হিসেবে কর্মকর্তা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, প্রতিনিধি, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি), ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য, ত্রাণ বিতরণকারী এনজিও’র কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও স্থানীয় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিগণের নিকট থেকে তথ্য সংগৃহীত হয়েছে। পরোক্ষ উৎস হিসেবে গবেষণা সংশ্লিষ্ট আইন, নীতিমালা, আদেশাবলী ও প্রতিবেদন এবং সংবাদমাধ্যমের তথ্য পর্যালোচিত হয়েছে। 

গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু -পূর্ববর্তী কার্যক্রমে ইতিবাচক উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য হালনাগাদকরণ; রোয়ানুর আগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও সতর্কবার্তা প্রচারের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের ই-মেইল-এর মাধ্যমে নির্দেশনা প্রদান; স্থানীয় পর্যায়ে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকা সত্ত্বেও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে দুর্যোগের বার্তা প্রদানে স্বেচ্ছাসেবীদের উদ্যোগ গ্রহণ; স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক শুকনো খাবার সংগ্রহ এবং স্থানীয়ভাবে মজুদ ইত্যাদি। ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু -পরবর্তী কার্যক্রমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কর্তৃক জরুরি ত্রাণ সহায়তা হিসাবে ৫,৬৮২ মেট্রিক টন চাল ও এক কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তা এবং জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন এবং দুর্যোগকালে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রদান করা হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জরুরি উদ্ধার কাজ পরিচালনার জন্য ১২ টি পিকআপ ভ্যান, ১২ টি উদ্ধার নৌকা ৬ টি মোবাইল অ্যাম্বুলেন্স এবং ৪ টি উত্তাল সমুদ্রে অনুসন্ধান উপযোগী উদ্ধার নৌকার বরাদ্দ দেয়া হয়।

এ গবেষণায় ঘূর্ণিঝড়-পূর্ব এবং পরবর্তী সময়ে সরকারের গৃহীত কার্যক্রমে সুশাসনের প্রধান চ্যালেঞ্জসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে। স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে দুর্গম এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা প্রচারে, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি সংক্রান্ত তথ্য, আশ্রয়কেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য, ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী জরুরি সাড়াদানে উপকারভোগী নির্বাচন ও ত্রাণের চাহিদা নিরূপণ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত তথ্য এবং ত্রাণ বরাদ্দ ও বিতরণ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশে ঘাটতি অন্যতম। এছাড়া ত্রাণ বরাদ্দ ও বিতরণে রাজনৈতিক প্রভাব দেখা গেছে। জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো হলো, ঘূর্ণিঝড়ের আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দুর্যোগের ঝুঁকি যথাযথভাবে চিহ্নিত না করা, আশ্রয়কেন্দ্রে দুর্গতদের নেওয়ার ক্ষেত্রে উদ্যোগ ও প্রয়োজনীয় যানবহনের ঘাটতি এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবহার অনুপোযোগিতা, উপকারভোগী নির্বাচন ও ত্রাণ বিতরণে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয়হীনতা, ত্রাণ বরাদ্দ ও বিতরণ সংক্রান্ত অভিযোগ জানানো ও নিরসন ব্যবস্থার ঘাটতি, বেসরকারিভাবে ত্রাণ বরাদ্দ এবং বিতরণ সংক্রান্ত তথ্য কোনো কোনো উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত না করা অন্যতম। জনসম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু’র আগে সচেতনতার অংশ হিসেবে নাগরিকদের অংশগ্রহণে নিয়মিত ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি মহড়ার আয়োজন না করা, আশ্রয়কেন্দ্র রক্ষণাবেক্ষণে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি’র পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ না থাকা এবং উপকারভোগী নির্বাচন প্রক্রিয়া ও ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে জনঅংশগ্রহণের ঘাটতি অন্যতম। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু পূর্ববর্তী সময়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আশ্রয়কেন্দ্র প্রভাবশালীদের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার, প্রভাবশালীদের প্রভাবে আশ্রয়কেন্দ্র যথাস্থানে নির্মাণ না করা, নির্মাণে অনিয়ম, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু পরবর্তী কার্যক্রমে কোন কোন ক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ইচ্ছামাফিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকাভুক্তিতে ও ত্রাণ বিতরণে ক্ষতিগ্রস্তের প্রয়োজনের তুলনায় রাজনৈতিক সমর্থককে বেশি গুরুত্ব প্রদান এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ত্রাণ আত্মসাৎ অন্যতম চ্যালেঞ্জ ছিলো। 

গবেষণার তথ্য অনুয়ায়ী, সুশাসনের ঘাটতির কারণ হিসেবে সতর্ক সংকেত প্রচারে সমন্বয়হীনতার ফলে দুর্গম এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের সতর্ক সংকেত না পৌঁছানো, রক্ষণাবেক্ষণে ঘাটতির কারণে দুর্যোগকালীন সময়ে আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবহারের উপযোগী না থাকা; ত্রাণ বিতরণে ন্যায্যতা না থাকায় কোন কোন ক্ষেত্রে উপকারভোগী বাছাই এ ক্ষমতার অপব্যবহার, পক্ষপাতিত্ব ও স্বজনপ্রীতি পরিলক্ষিত হয়। এর ফলে ত্রাণ বিতরণে ক্ষতিগ্রস্তের প্রয়োজনের তুলনায় রাজনৈতিক সমর্থককে বেশি গুরুত্ব প্রদান করা হয়। এছাড়া উপকারভোগীর ত্রুটিপূর্ণ তালিকা তৈরি; প্রয়োজন অনুসারে ত্রাণ না দেওয়া; ত্রাণ আত্মসাৎ এবং ত্রাণ প্রাপ্তিতে কোন কোন ক্ষেত্রে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা বঞ্চিত হয়। ত্রাণ সংক্রান্ত তথ্যের উন্মুক্ততা না থাকার ফলে উপকারভোগী বাছাই ও ত্রাণের চাহিদা নিরূপণ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয় না এবং ত্রাণ বরাদ্দ ও বিতরণ সংক্রান্ত তথ্য ক্ষতিগ্রস্তদের জানানো হয় না।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশের অর্জন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসিত হয়েছে। এই অর্জনকে এগিয়ে নিয়ে উচ্চতর পর্যায়ে বহুমুখী উৎকর্ষ নিশ্চিত করা ও সুশাসনের মৌলিক উপাদানসমূহকে বাংলাদেশের দুর্যোগ মোকাবেলার মূলধারায় টেকসই করার উদ্দেশ্যে এ গবেষণায় ঘূর্ণিঝড়-পূর্ব এবং পরবর্তী কার্যক্রমে সুশাসনের চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। টিআইবি আশা করে এই প্রতিবেদনে উপস্থাপিত তথ্য, বিশ্লেষণ ও সুপারিশ বাংলাদেশে দুর্যোগ মোকাবেলায় গৃহীত পদক্ষেপে অধিকতর স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, নাগরিক অংশগ্রহণ এবং শুদ্ধাচার চর্চা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।”

ড. জামান আরো বলেন, “দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষমতাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব যে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে একজন ব্যক্তিরও মৃত্যু ঘটবে না। তবে এ জন্য সঠিক ঝুঁকি নিরুপণ ও ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য গৃহীত সকল পর্যায়ে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জনঅংশগ্রহণ নিশ্চিত করা অপরিহার্য।” 

গবেষণায় বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, দুর্নীতি দমন কমিশন, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো ও তথ্য অধিদপ্তরের জন্য পনের দফা সুপারিশ উত্থাপিত হয়েছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ঘূর্ণিঝড়ের ঝূঁকি চিহ্নিত করে তা মোকাবেলা সংক্রান্ত তথ্য স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে অবহিত করা; সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে ঝূঁকিপূর্ণ ও দুর্গম এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের সতর্ক সংকেত প্রচারের ক্ষেত্রে য় কমিউনিটি রেডিও এবং মোবাইল ফোনের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চত করা; সঠিক সতর্কবার্তা প্রচারের ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সাথে আবহাওয়া অধিদপ্তরের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধির পাশাপাশি ইলেকট্রনিক মাধ্যমে হালনাগাদ সতর্ক সংকেত প্রচারে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা; উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সচেতনতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রতি তিন মাস পর পর প্রশিক্ষণ ও মহড়ার আয়োজন; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কর্তৃক ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ এবং ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রমে অনিয়ম-দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থার পাশাপাশি উল্লেখযাগ্য অবদানের জন্য ইতিবাচক প্রণোদনা; ‘দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলী-২০১০’ অনুসারে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বে এবং পরবর্তীতে ঝুঁকি কমানো ও দুর্যোগ মোকাবেলার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনের প্রতি যেসব নির্দেশনা আছে তা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের তদারকি বৃদ্ধির সুপারিশ করে টিআইবি।

বার্তা প্রেরক,


মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম
সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার - আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন
মোবাইল: ০১৭১৪০৯২৮৬৪ 
ই-মেইল:zahid@ti-bangladesh.org


Press Release