টি আই বি’র অবস্থান
১৮ ডিসেম্বর ২০১৬ টিআইবি’র ধানমন্ডিস্থ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারি বিশ^বিদ্যালয়ে প্রভাষক নিয়োগ: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় শীর্ষকএকটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষিতে টিআইবি’র অবস্থান নি¤œরূপ:
টিআইবি’র প্রতিবেদন মনগড়া কিনা?
জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা পদ্ধতি অনুসরণ করে উক্ত গবেষণা টিসম্পন্নহয়েছে।প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত তথ্যও বিশ্লেষণ ১৩টি সরকারি বিশ^বিদ্যালয়ে প্রভাষক নিয়োগের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল শ্রেণীর অংশীজনের নিকট থেকে সংগৃহীত হয়েছে।একই বিষয়ের ওপর প্রাপ্ত তথ্য বিভিন্ন উৎস ও পর্যায় থেকে যাচাই করে প্রতিবেদনে সন্নিবিষ্ট, বিশ্লেষিত ও উপস্থাপিত হয়েছে। তথ্য দাতাদের মধ্যেছিলেন - বর্তমান ও সাবেক উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ডিন, সিন্ডিকেট সদস্য, বিভাগীয়/ইনস্টিটিউট প্রধান, সাধারণ শিক্ষক, যথা- অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারি অধ্যাপক, প্রভাষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ইউজিসির চেয়ারম্যান ও সদস্য, বিশেষজ্ঞ শিক্ষক (এক্সটারনালএক্সপার্ট), শিক্ষক সমিতির নেতা, নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী, বিশ^বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের একাংশসহ সংশ্লিষ্ট গবেষক ও বিশেষজ্ঞ।তথ্যদাতাদের প্রদত্ত তথ্য তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানভিত্তিক।তদুপরি সমাজ বিজ্ঞান গবেষণার আন্তর্জাতিক স্বীকৃত পদ্ধতি যেমন - রেসপডেন্ট ভেলিডেশন ও ট্রায়াঙ্গুলেশন প্রভৃতির মাধ্যমে প্রাপ্ত প্রতিটি তথ্যের যথার্থতা নিশ্চিত করা হয়েছে।এ প্রতিবেদন মনগড়া নয়, তথ্যনির্ভর ও বিজ্ঞানসম্মত।
ইউজিসি সম্পর্কে টিআইবি’র প্রতিবেদনে কী কী তথ্য উল্লেখিত হয়েছে?
টিআইবি’র প্রতিবেদনে সরকারি বিশ^বিদ্যালয়ের প্রভাষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি সম্পর্কে নিরীক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে ইউজিসি কর্তৃক মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমাদেওয়ার তথ্য সন্নিবেশিত হয়েছে।এছাড়া প্রভাষক নিয়োগের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাজনিত কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ ইউজিসির নেই বলে ও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বিশ^বিদ্যালয়ের প্রভাষক নিয়োগের অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে ইউজিসির সম্পৃক্ততা আছে কিনা?
বিশ^বিদ্যালয়ের প্রভাষক নিয়োগের চাহিদা অনুমোদনে ক্ষেত্রবিশেষে ইউজিসি কর্তৃক দীর্ঘসূত্রিতার বিষয়টি টিআইবি’র প্রতিবেদনে উল্লেখিত হয়েছে।এছাড়া প্রভাষক নিয়োগে ইউজিসির সাথে সম্পৃক্তজনের একাংশ কর্তৃক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সুপারিশ ও প্রভাববিস্তার সম্পর্কে টিআইবি’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।বিশ^বিদ্যালয়ে প্রভাষক নিয়োগে বিধি-বহির্ভূত আর্থিক লেনদেনের সাথে ইউজিসির সম্পৃক্ততা সম্পর্কে টিআইবি’র প্রতিবেদনে কোন তথ্য বা মন্তব্য নেই।কোনো কোনো সংবাদপত্রে আর্থিক লেনদেনের সাথে ইউজিসির সম্পৃক্ত তার কথা প্রকাশিত হওয়ার পর তা টিআইবি’র নজরে আসায় ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্রে টিআইবি’র ব্যাখ্যা সম্বলিত প্রতিবাদপত্র প্রেরিত হয়েছে।
ইউজিসির সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করা হয়েছে কিনা?
টিআইবি’র গবেষণায় বিশ^বিদ্যালয়ে প্রভাষক নিয়োগ সংক্রান্ত যেসব তথ্য পাওয়া গেছে সেগুলো অত্যন্ত সতর্কতার সাথে যাচাই করে প্রতিবেদনে উপস্থাপিত হয়েছে।বিশ^বিদ্যালয়ে প্রভাষক নিয়োগ স্বচ্ছতার মাধ্যমে সম্পন্ন করা এবং মেধাবীদের এই পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে টিআইবি এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে।কোনো প্রতিষ্ঠানের সুনাম বা ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করা টিআইবি’র উদ্দেশ্য নয়।
কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন সম্পর্কে ভুল তথ্য উপস্থাপন
গবেষণা প্রতিবেদনটির উদ্ধৃতি দিয়ে দি ডেইলি স্টার, ঢাকা ট্রিবিউন, যুগান্তর, কালেরকণ্ঠ, মানবকণ্ঠ, সমকাল ও সকালেরখবর- এই সাতটি সংবাদপত্রের সংবাদ প্রতিবেদন এবং সম্পাদকীয় তে সরকারি বিশ^বিদ্যালয়ে প্রভাষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের সুবিধাভোগী হিসেবে অন্যদের মধ্যে ডিন, বিভাগীয় বা প্রতিষ্ঠান প্রধান, সংসদ সদস্য, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের কর্মকর্তার কথা উল্লেখ করা হয়।কিন্তু টিআইবি’র গবেষণা প্রতিবেদনে আর্থিক লেনদেনের সুবিধাভোগী হিসেবে উপরোল্লিখিত অংশীজনের বিষয়েকোনো তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।
ভুল সংশোধন পূর্বক সঠিক তথ্য উপস্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের প্রতি টিআইবি’র লিখিত অনুরোধ
টিআইবি’র গবেষণা প্রতিবেদনে সরকারি বিশ^বিদ্যালয়ে প্রভাষক নিয়োগে আর্থিক অনিয়মের সুবিধাভোগীদের মধ্যে উপরোল্লিখিত অংশীজনও কারণের কথা উল্লেখ না থাকার প্রেক্ষিতে গত ২১ডিসেম্বর ভুল তথ্যগুলো সংশোধন পূর্বক সঠিক তথ্য উপস্থাপনের জন্য উপরোল্লিখিত সাতটি সংবাদপত্রকে টিআইবি লিখিত অনুরোধ জানায়।