ঢাকা, ৯ অক্টোবর, ২০১৬:সম্প্রতি জাতীয় সংসদে বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন আইন, ২০১৬ এর পাশ হওয়ার প্রেক্ষিতে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আজ এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশে কর্মরত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিবৃন্দ নিম্নোক্ত দাবি উত্থাপন করেন।
গত ৫ অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে পাশকৃত বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন বিল, ২০১৬ এর অনুচ্ছেদ ১৪ সংবিধান স্বীকৃত চিন্তা, মত, বিবেক ও বাক্-স্বাধীনতা এবং সংগঠন বিষয়ক মৌলিক অধিকার খর্ব করার ঝুঁকি সৃষ্টি করবে এই মর্মে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে উপরে উল্লিখিত বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ বিলটিতে সম্মতি প্রদান না করার জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট আহ্বান জানাচ্ছে।
একই সাথে তারা বেসরকারি সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে অনুচ্ছেদ ১৪ সহ অন্যান্য অগণতান্ত্রিক, ঝুঁকিপূর্ণ ও অবাস্তব ধারাগুলো বাতিল করে বিলটির সংশোধন দাবি করছে।
বৈদেশিক অনুদানে প্রকল্প বাস্তবায়নরত বেসরকারি সংস্থাগুলোর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে সেনা-শাসন আমলে প্রণীত দেশে বিদ্যমান দু’টি অধ্যাদেশ বাতিল করে বর্তমান সরকার নতুন একটি আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে। সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বেসরকারি সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিবৃন্দ বিভিন্ন সময়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সাথে প্রস্তাবিত খসড়া আইনের বিধানাবলী নিয়ে তাদের সুনির্দিষ্ট মতামত ও উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করেছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের অভিমত ইতিবাচকভাবে বিবেচিত হয়েছে। খসড়া প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদেরকে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে সরকার ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তবে চূড়ান্ত খসড়াটি জাতীয় সংসদে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপনের আগে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদেরকে আরো একবার দেখানোর কথা থাকলেও বাস্তবে তা করা হয়নি। আশা করা হয়েছিল যে আইনটি স্বৈরাচারি সরকারের আমলের তুলনায় অধিকতর গণতান্ত্রিক হবে, যার ফলে সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে কর্মরত বেসরকারি খাত অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পাশাপাশি সংবিধান প্রদত্ত অধিকার অনুযায়ী স্বাধীন, নিরবচ্ছিন্ন ও সাবলীলভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, মানবাধিকার রক্ষা এবং সুশাসন নিশ্চিতকরণে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
জাতীয় সংসদে গৃহীত উল্লিখিত বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন আইন, ২০১৬ আমাদের সে আশার প্রতিফলন ঘটায়নি। বরং এটি প্রতীয়মান হয়েছে যে বেসরকারি সংস্থাগুলোর বৈদেশিক অনুদান সংগ্রহ ও ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নামে সরকার মূলতঃ সার্বিকভাবে স্বেচ্ছাসেবামূলক উদ্যোগকে নিরুৎসাহিত করতে এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর কর্মকা- নিয়ন্ত্রণে, বিশেষ করে মত প্রকাশের স্বাধীনত খর্ব করতেই বেশি আগ্রহী, যা পুরো বেসরকারি খাতের জন্য উদ্বেগজনক, বিশেষতঃ মানবাধিকার ও সুশাসন নিয়ে কর্মরত সংস্থাগুলোর জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এ আইনে একদিকে ব্যক্তি ও বেসরকারি সংস্থা এবং অন্যদিকে স্বেচ্ছাসেবামূলক ও দাতব্য কার্যক্রমসমূহকে একইভাবে নিয়ন্ত্রণের বিধান রাখা হয়েছে, যা অযৌক্তিক। তাছাড়া ব্যক্তির দাতব্য কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সাংঘর্ষিক বিধান রাখা হয়েছে।
আইনটির অনুচ্ছেদ ১৪ অনুযায়ী সংবিধান এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে “বিদ্বেষমূলক ও অশালীন” কোনো মন্তব্য করলে তা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং এ কারণে সংশ্লিষ্ট এনজিওর সনদ বাতিলের যে বিধান রাখা হয়েছে যা কেবল অস্পষ্ট, ব্যাপকভাবে ব্যাখ্যা ও অপব্যাখ্যাযোগ্য এবং স্বেচ্ছাচারমূলক তাই নয়, এটি চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক্-স্বাধীনতা সংক্রান্ত সংবিধানের মৌলিক অধিকারেরও পরিপন্থী। সংসদের আইন ও সংসদ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সম্মানিত সভাপতি একাধিকবার গণমাধ্যমের কাছে এ ধরণের ধারা অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা জানিয়েছিলেন বটে, কিন্তু বিভিন্ন সময়ে প্রস্তাবিত আইনটির বিষয়ে তার কমিটির সাথে একাধিক বৈঠকে বেসরকারি সংস্থাসমূহের সাথে আলাপ আলোচনায় এমন কোন প্রস্তাবনা কখনো উত্থাপিত বা আলোচিত হয়নি। অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ একটি আইনে এমন অনভিপ্রেত সংযোজন গণতান্ত্রিক ভাবধারা ও চর্চার পরিপন্থী এবং নিবর্তনমূলক চিন্তার প্রতিফলন বলেই প্রতীয়মান যা বেসরকারি সংস্থাগুলোর কাছে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। বিশ্বের কোন গণতান্ত্রিক দেশে সমধারার আইনে চিন্তা ও মত প্রকাশে প্রতিবন্ধক এমন কোনো বিধান নেই।
আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং বিলটিতে সম্মতি প্রদান না করার জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট বিনীত আহ্বান জানাচ্ছি। একইসাথে আমরা প্রস্তাবিত আইনটির বিষয়ে বেসরকারি সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিবৃন্দের যে অন্যান্য উদ্বেগ ও সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনার প্রতিফলন ঘটেনি, সেগুলো সন্নিবিষ্ট করে সকল অংশীজনের সাথে পুনরায় আলোচনা করে আইনটি সংশোধনের দাবি জানাচ্ছি। বিশেষ করে আমরা নিবন্ধন প্রদান ও প্রকল্প অনুমোদনের সময়সীমা, মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পের পরিবর্তন ও পার্বত্য চট্টগ্রামে কর্মরত এনজিওদের কার্যক্রমের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক বিধান বিষয়ে আমাদের বক্তব্যগুলো আইনে সংযোজনের জোর দাবি জানাচ্ছি। অনুচ্ছেদ ১৪-তে অপরাধ হিসেবে অন্য যে সব বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে- যেমন জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন, নারী ও শিশু পাচার বা মাদক ও অস্ত্র পাচারের সাথে সংশ্লিষ্টতা- এ সকল অপরাধের জন্য প্রচলিত আইনসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রভিত্তিক সুনির্দিষ্ট আইন রয়েছে বিধায় তা বাতিল করতে হবে।
কর্তৃত্বপরায়ণ আইনটি চূড়ান্ত হলে, বিশেষ করে চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক্-স্বাধীনতা সংক্রান্ত সংবিধানের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী ধারাসহ আইনটি বলবত করলে তা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদানরত বেসরকারি সংস্থাগুলোর কাছে এবং আন্তর্জাতিক মহলে গৃহীত হবে না। বরং সংবিধান স্বীকৃত চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক্-স্বাধীনতা ও সংগঠন/সংঘ করার অধিকারকে ভিত্তি ধরে এবং সুনির্দিষ্টভাবে তার স্বীকৃতিসহ আইনটি প্রণয়ন করলে তা বেসরকারি সংস্থাগুলোর কার্যক্রম এবং সরকারের গণতান্ত্রিক ভাবমূর্তির জন্য সহায়ক হবে।
আমরা আশা করি মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং সরকার কর্তৃক আমাদের দাবিগুলো যথাযথ গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হবে ।
স্বাক্ষরকারী সংস্থাসমূহ
আইন ও সালিশ কেন্দ্র, ব্র্যাক, গণসাক্ষরতা অভিযান, নিজেরা করি, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ব্লাস্ট, বেলা, এফএনবি, এ্যাডাব, এএলআরডি, প্রিপ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ, এ্যাকশন এইড, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড, ওয়াটার এইড, অক্সফাম ইন্টারন্যাশনাল, কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ।
বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন বিল (২০১৬)
উপরোল্লিখিত এনজিওদের পক্ষ থেকে নিম্নলিখিত মন্তব্য ও সুপারিশ তুলে ধরা হলো।
ক্রমিক নং |
ধারা নং ও বর্ণনা |
মন্তব্য |
সুপারিশ |
প্রাধান্য |
|||
১. |
ধারা ২(৫), ২(৬), ৩, ৬(১), ৬(৩), ৬(৪), ৬(৫), ৯(১), ৯(২), ৯(৩), ৯(৪), ১০(১), ১৩(১), ১৩(২), ১৩(৩), ১৪, ১৫(ক), ১৫(ঘ): আইনের এখতিয়ারে ব্যক্তির অন্তর্ভুক্তি |
· এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর নিজস্ব ক্ষমতার বাইরে অহেতুক এখতিয়ারের সম্প্রসারণ;· প্রবাসী বাংলাদেশীসহ অন্যদের জনহিতকর ও স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রমকে নিরুৎসাহিত করতে পারে;· অবৈধ অর্থ প্রবাহ এবং কর ফাঁকির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে;· এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর নিজস্ব সক্ষমতার বাইরে অতিরিক্ত কাজের চাপ বৃদ্ধির ঝুঁকি সৃষ্টি হবে। |
এই আইনের এখতিয়ার থেকে ব্যক্তির অন্তর্ভুক্তি বাতিল করে ২(৫), ২(৬), ৩, ৬(১), ৬(৩), ৬(৪), ৬(৫), ৯(১), ৯(২), ৯(৩), ৯(৪), ১০(১), ১৩(১), ১৩(২), ১৩(৩), ১৪, ১৫(ক), ১৫(ঘ) নং ধারাসমূহে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা উচিত। |
২. |
ধারা ৪: নিবন্ধন এবং নিবন্ধন নবায়ন |
· নিবন্ধনের জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারিত নেই (যদিও অন্যান্য আরও কিছু ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া হয়েছে);· নিবন্ধন ইস্যু প্রক্রিয়ার জন্য বর্তমানে চলমান চর্চা অনুযায়ী সময়সীমা নির্ধারণ করা উচিত। |
ধারা ৪ এর অধীন নিম্নলিখিত উপ-ধারাসমূহ সংযুক্ত করা উচিত:ক) “সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে প্রারম্ভিক নিবন্ধন ইস্যু করা হইবে”।খ) “সর্বোচ্চ ৪৫ দিনে নিবন্ধন নবায়ন করা হইবে”। |
৩. |
ধারা ৬: প্রকল্প অনুমোদন, ইত্যাদি |
· অনুমোদনের জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারিত নেই;· অনুমোদন প্রক্রিয়ার জন্য বর্তমানে চলমান চর্চা অনুযায়ী সময়সীমা নির্ধারণ করা উচিত। |
ধারা ৬ এর অধীন নিম্নলিখিত উপ-ধারা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত:“সর্বোচ্চ ৪৫ দিনের মধ্যে প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হইবে”। |
৪. |
ধারা ৬(৪): ব্যুরো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আপত্তি বা সুপারিশ অনুসারে প্রকল্প প্রস্তাব পরিবর্তন বা সংশোধন করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা এনজিওকে ফেরত প্রদান করিতে পারিবে |
· এই প্রক্রিয়া প্রকল্পের মৌলিক বৈশিষ্ট্য ক্ষুণ্ণকরতে পারে;· এটি এনজিও খাতের সাবলীল বিকাশ, প্রাধান্য অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং অর্থায়নের পথে অন্তরায়সহ নেতিবাচক প্রভাবের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে;· দাতা সংস্থার অগ্রাধিকার বা প্রাধান্যের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সংশোধনী প্রস্তাবিত হতে পারে। |
ধারা ৬(৪) নিম্নরূপ সংশোধন করা উচিত:“সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রকার মন্তব্য বা সুপারিশ থাকিলে প্রকল্পের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও প্রস্তাবিত কার্যক্রমের মূল কাঠামো অক্ষুণ্ণরাখিয়া উহা বিবেচনা করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট এনজিওকে ব্যুরো পরামর্শ দিতে পারিবে।” |
৫. |
ধারা ১০(৭) ও ১০(৮): পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় কর্মরত এনজিওদের কার্যক্রম ‘তত্ত্বাবধান ও মূল্যায়ণ’ করবে একটি অনির্ধারিত কমিটি |
এই ধারা দু’টি বৈষম্যমূলক। কারণ:ক) যেখানে দেশের অন্যান্য জেলার এনজিও কার্যক্রমের সমন্বয় ও পরিবীক্ষণের ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ওপর ন্যস্ত, সেখানে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় এ ধরনের দায়িত্ব কোন্ কর্তৃপক্ষের ওপর ন্যস্ত হবে তা অনুল্লিখিত রাখা হয়েছে;খ) অন্যান্য জেলা থেকে ভিন্ন এই অনির্ধারিত কমিটির কাছে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় কর্মরত এনজিওদের কার্যক্রম ‘মূল্যায়ণ’ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। |
ধারা ১০(৭) ও ১০(৮) নিম্নরূপ সংশোধন করা হোক:ক) পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ণের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অথবা পাবর্ত্য জেলা পরিষদের কাছে ন্যস্ত করা উচিত; এবংখ) ‘তত্ত্বাবধান ও মূল্যায়ণ’ সংশোধন করে অন্যান্য জেলার মতো ‘পরিদর্শন, পরিবীক্ষণ ও পর্যবেক্ষণ’ প্রতিস্থাপন করা হোক। |
৬. |
ধারা ১২(২): প্রকল্প সমাপ্তির পর সকল খরচের ভাউচার সংশ্লিষ্ট এনজিওর কেন্দ্রীয় ও মাঠ কার্যালয়ে সংরক্ষণ (অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য) |
মাঠ কার্যালয়ে খরচের ভাউচার বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রেই সংরক্ষণ করা অসম্ভব। কেননা, সাধারণত প্রকল্প শেষ হওয়ার পর মাঠ কার্যালয়ও বন্ধ হয়ে যায়। |
“প্রকল্প সমাপ্তির পর সকল খরচের ভাউচার সংশ্লিষ্ট এনজিওর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঁচ বছরের জন্য সংরক্ষণ করিতে হইবে” - এই মর্মে ধারা ১২(২) সংশোধন করা হোক। |
৭. |
ধারা ১৪: অপরাধ |
বিধৃত অপরাধগুলো অন্য আইনে বিচার্য; নতুন সংযোজিত লাইনটি অপব্যাখ্যাযোগ্য ও স্বেচ্ছাচারমূলক |
ধারাটি বাতিল করা হোক। |
অন্যান্য |
|||
৮. |
আইনের ‘উদ্দেশ্য’ ও ‘যৌক্তিকতা’ |
আইনটিতে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী ও সাংবিধানিক অঙ্গীকার পূরণের প্রতিফলন থাকা উচিত। |
সংবিধানের ৩৮ নং অনুচ্ছেদ যেখানে ‘সংগঠন/ সংঘ করার অধিকার’-কে স্বীকৃতি বা নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে, সেই অনুচ্ছেদকে আইনটির ‘উদ্দেশ্য’ ও ‘প্রধান যৌক্তিকতা’ হিসেবে সংযোজন করা হোক। |
৯. |
ধারা ১৯: বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা |
এই আইনটির খসড়া প্রণয়নকালে এনজিওদের সম্পৃক্ত করার উৎকৃষ্ট উদাহরণ সৃষ্টির পর এখন সরকারের উচিত এই আইনের ভিত্তিতে বিধি প্রণয়ন প্রক্রিয়ায়ও এনজিও প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা। |
নিম্নরূপ পরিবর্তন করা হোক:
|