পার্লামেন্ট ওয়াচ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে টিআইবি-এর অবস্থান
ঢাকা, ০১ নভেম্বর, ২০১৫: ২৫ অক্টোবর ২০১৫ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশিত “পার্লামেন্ট ওয়াচ: দশম জাতীয় সংসদ-দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠ অধিবেশন (জুন ২০১৪-জুলাই ২০১৫)” শীর্ষক প্রতিবেদন এবং সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বে টিআইবি- এর নির্বাহী পরিচালকের দু’টি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষিতে টিআইবি’র অবস্থান নিম্নরূপ:
১. সরকারের ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ও তার বাইরে, বিশেষ করে অগণিত সাধারণ নাগরিক উক্ত প্রতিবেদনের গুরুত্ব অনুধাবন করে বিভিন্ন মাধ্যমে অকুন্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন এবং টিআইবিকে অনুপ্রাণিত করেছেন। তাঁদের প্রতি টিআইবি কৃতজ্ঞ।
২. রাজনৈতিক অঙ্গনের একাংশ দৃশ্যত দলীয় রাজনৈতিক অবস্থান থেকে উক্ত প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা অর্জনের চেষ্টা করেছেন। এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি একজন বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতারই বক্তব্য টিআইবি স্মরণ করতে চায়। তিনি এক জনসভায় বলেছিলেন, “টিআইবি তো সবসময়ই প্রতিবেদন দেয়, আমরা সরকারে থাকলে বলি নাউযুবিল্লাহ্ আর বিরোধী দলে থাকলে বলি আলহামদুলিল্লাহ।” এ বক্তব্য যেমন টিআইবি’র অবস্থানের বস্তুনিষ্ঠতার এক উত্তম স্বীকৃতি, তেমনি তথ্য ও জ্ঞান-নির্ভর বিশ্লেষণ ও নির্মোহ সমালোচনাকে দলীয় আঙ্গিকে ব্যবহারের অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকার আহ্বানও বটে।
৩. কয়েকজন সম্মানিত মন্ত্রী, মাননীয় সংসদ সদস্য ও সরকার জোটের সমর্থক জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃস্থানীয় শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিবর্গ প্রতিবেদন প্রকাশের পর মূলত তিনটি বিষয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
-
ক. মূখ্যত প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকা সম্পর্কে প্রতিবেদনের তথ্য ও বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে প্রশ্নোত্তর পর্বে নির্বাহী পরিচালক কর্তৃক জাতীয় সংসদে “বিরোধীদলের” উক্ত ভূমিকা “পুতুল নাচের নাট্যশালা’র মতো মনে হতে পারে”- এই মর্মে মন্তব্য;
-
খ. একইভাবে “বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিতর্কমুক্ত নির্বাচন অপরিহার্য, যা কখন ও কীভাবে হবে তা আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দই নির্ধারণ করবেন”, নির্বাহী পরিচালকের এরূপ বক্তব্য; এবং উক্ত দু’টি মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায়;
-
গ. বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে অধিষ্ঠিত সম্মানিতজন কর্তৃক টিআইবি এর কার্যক্রমের অর্থসূত্র সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ ও টিআইবি’র বিরুদ্ধে আই-এসসহ জঙ্গি সম্পৃক্ততা, সংসদের মর্যাদাহানি, জাতীয় স্বার্থবিরোধী তৎপরতা এবং রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার উদ্দেশ্যমূলক অভিযোগ।