অর্থমন্ত্রীর চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদ, অর্থের পরিমান, উৎস এবং খরচের পুরো হিসাবের দাবী টিআইবি’র
ঢাকা, ১০ মার্চ ২০১৪: আসন্ন আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং লাখো কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত অনুষ্ঠানের জন্য অর্থমন্ত্রী কর্তৃক ১০০ কোটি টাকা চাঁদা উত্তোলনের সংবাদের তীব্র নিন্দা জানিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) সংবিধানের ২০(২) অনুচ্ছেদের সাথে সাংঘর্ষিক এ কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। অন্যদিকে মন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এরূপভাবে উত্তোলিত অর্থের উৎস, পরিমান এবং এ ব্যয়ের চুলচেরা হিসাব প্রকাশের দাবী জানিয়েছে টিআইবি।
এক বিবৃতিতে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দেশী ও বিদেশী বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ‘চাঁদা’ তোলার ব্যাপারে গণমাধ্যমের কাছে অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনায় নৈতিক অবক্ষয়ের উদ্বেগজনক দৃষ্টান্ত। অর্থমন্ত্রীর এই জাতীয় বক্তব্যে সচেতন দেশবাসী মাত্রই বিচলিত বোধ না করে পারবেন না। এটি আরো উদ্বেগজনক যে অর্থমন্ত্রীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তিনি ‘মাঝে মাঝেই চাঁদা টাদা’ তুলে থাকেন। একজন সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত অর্থমন্ত্রী যিনি তার ট্যাক্সের বিবরণী জন সম্মুখে উন্মুক্ত করেছিলেন, তার এহেন বক্তব্যে টিআইবি যারপরনাই বিস্মিত।
ড. জামান আরো বলেন, নৈতিকতা বিবর্জিত এই অবস্থান ও বক্তব্যে পেশাদার চাঁদাবাজরাই শুধু উৎসাহিত হবেন না বরং এই জাতীয় চাঁদা প্রদানে বাধ্য ব্যবসায়ী মহল ক্ষমতার সাথে যোগসাজসে অধিকতর দুর্নীতিপরায়ণ হয়ে উঠবে এবং চুড়ান্ত বিবেচনায় এর বোঝা পড়বে জনগণের উপর।
সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর এরূপ দুর্নীতি-সহায়ক অবস্থান একদিকে সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানের সাথে সাংঘর্ষিক এবং অন্যদিকে সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। তিনি অনতিবিলম্বে মন্ত্রী কর্তৃক ইতোমধ্যে চাঁদার মাধ্যমে আদায়কৃত অর্থের পরিমান এবং তার ব্যয়ের তথ্য প্রকাশে অর্থমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।