ধর্মীয় স্থাপনাসহ বৌদ্ধ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় সচেতন নাগরিক কমিটির নিন্দা প্রকাশ
বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি
ঢাকা, অক্টোবর ৫, ২০১২: গত সপ্তাহে রামু, টেকনাফ, উখিয়া এবং পটিয়ায় পবিত্র বৌদ্ধ ও হিন্দু মন্দির এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর সংঘটিত বর্বরোচিত হামলা ও নির্যাতনের ঘটনায় গভীর নিন্দা জানিয়ে অনতিবিলম্বে এ ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে টিআইবি’র অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)।
আজ ঢাকায় অনুষ্ঠিত সারা দেশের ৪৫টি অঞ্চলের সচেতন নাগরিক কমিটির জেন্ডার বিষয়ক উপকমিটির এক সভায় রামুর ঘটনায় নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করে বলা হয়, “ধর্মীয় পবিত্র স্থাপনা ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নগ্ন আক্রমনের এ জাতীয় ঘটনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ধর্ম-জাতি নির্বিশেষে সকল নাগরিকের সমঅধিকারে অঙ্গীকারাবদ্ধ বাংলাদেশে এ জাতীয় উগ্র গোষ্ঠীর নারকীয় আক্রমন কোন অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সনাকের জেন্ডার বিষয়ক উপকমিটির এই সভায় সনাকের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও সর্বোপরি আমাদের স্বাধীন জাতিসত্ত্বার মূল ভিত্তির ওপর এটি অগ্রহণযোগ্য ও অমার্জনীয় আঘাত। ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মৌলিক মানবাধিকার লংঘনকারী এসব ঘটনার প্রশাসনিক তদন্তের পাশাপাশি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিচারবিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা এবং স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দায়িত্বপালনে কোন প্রকার অবহেলার প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জনানো হয়।
সনাক সদস্যগণ এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। একইসাথে এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ও আহতদের যথাযথ চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণসহ ধ্বংসপ্রাপ্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো অনতিবিলম্বে পরিপূর্ণ পুনঃস্থাপন ও নির্মাণের যাবতীয় ব্যয়ভার সরকারিভাবে নির্বাহের জোর দাবি জানানো হয়।
সনাকের সাংগঠনিক সভায় জেন্ডারসহ জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের প্রতি জেন্ডার সংবেদনশীল দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলন জোরদার করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।