অধ্যাপক খান সারওয়ার মুরশিদ এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে টিআইবি
ঢাকা, ডিসেম্বর ৮, ২০১২: টিআইবি’র ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক চেয়ারপারসন অধ্যাপক খান সারওয়ার মুরশিদ এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এক বিবৃতিতে বলেন, “অধ্যাপক খান সারয়োর মুরশিদ এর মৃত্যুতে দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন একজন পথপ্রদর্শক এবং একনিষ্ঠ ও উদ্যমী একজন সুহৃদকে হারাল। তিনি ১৯৯৬ সালে টিআইবি’র প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনকে বেগবান করার লক্ষ্যে সক্রিয় অবদান রেখেছেন, বিশেষ করে দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠান হিসেবে টিআইবি’র চলার পথে যে কোন সংকটে তাঁর সুচিন্তিত পরামর্শ, নির্দেশনা ও সহায়তা আমাদেরকে এগিয়ে যাবার প্রেরণা যুগিয়েছে। টিআইবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ ও ম্যানেজমেটের পক্ষ থেকে আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি ও তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারকে জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।”
দেশের ৪৫টি অঞ্চলে টিআইবি’র অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), ইয়েস, ইয়েস ফ্রেন্ডস্ এবং স্বজনের সদস্যদের পক্ষ থেকেও অধ্যাপক খান সারওয়ার মুরশিদ এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানানো হয়েছে।
খান সারওয়ার মুরশিদ ছিলেন একাধারে শিক্ষক, লেখক, গবেষক, সমাজকর্মী ও কূটনীতিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক থেকে স্বাধীনতার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্যের নর্টিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাষ্ট্রে হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি বাংলা একাডেমির একজন সম্মানিত ফেলো ছিলেন। তিনি পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরীর রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৭৭ সালে কমনওয়েলথ এর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক মুরশিদ ২০০১ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত টিআইবি’র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত টিআইবি’র ট্রাস্টি বোর্ডের একজন সম্মানিত সদস্য ছিলেন।