বিশ্বজিৎ দাস এর নির্মম হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে
দুর্নীতিবিরোধী নতুন নেটওয়ার্ক ‘ইয়ং প্রফেশনাল এগেইনস্ট করাপশন- ওয়াইপ্যাক’
ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১২: গত ৯ ডিসেম্বর অবরোধের সময় তরুণ পেশাজীবি বিশ্বজিৎ দাস এর হত্যায় গভীর ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে এর বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে টিআইবি’র উদ্যোগে গঠিত তরুণ পেশাজীবিদের দুর্নীতিবিরোধী নেটওয়ার্ক ওয়াইপ্যাক (Young Professionals Against Corruption-YPAC)।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর উদ্যোগে ‘ইয়ং প্রফেশনাল এগেইনস্ট করাপশন- ওয়াইপ্যাক (YPAC)’ নামে তরুণ পেশাজীবি সদস্যদের অংশগ্রহণে একটি নেটওয়ার্ক এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা আজ শুরু হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে নেটওয়ার্কটি টিআইবি’র ‘ইয়ুথ এনগেজমেন্ট এন্ড সাপোর্ট- ইয়েস’ এর সকল প্রাক্তন সদস্যদের যারা পেশাগত জীবন শুরু করেছেন তাদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে এ নেটওয়ার্কে দেশের বিভিন্ন সমাজসেবী/স্বেচ্ছাসেবী/পেশাজীবি সংগঠনের আগ্রহী তরুণদেরকেও পর্যায়ক্রমে সম্পৃক্ত করা হবে। তরুণ পেশাজীবিদের নিয়ে গঠিত এ নেটওয়ার্ক মূলত দেশব্যাপী টিআইবি’র দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনকে আরো বেগবান ও কার্যকর করতে সহযোগিতা করবে।
ওয়াইপ্যাক সদস্যরা সাম্প্রতিক সময়ে তরুণ পেশাজীবি বিশ্বজিৎ দাসকে নির্মমভাবে হত্যার নিন্দা জানান। সেইসাথে এ ফোরাম থেকে বিশ্বজিৎ হত্যার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
সকাল ১১ টায় টিআইবি’র বনানী কার্যালয়ে ওয়াইপ্যাকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা উপলক্ষে আয়োজিত সভায় টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “বিশ্বজিৎ দাসের হত্যাকারীদের পরিচয় দেশবাসীর নিকট অত্যন্ত পরিষ্কার হওয়া সত্বেও সরকারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য, উদ্দেশ্যমূলক ও অপরাধীদের আইনের ঊর্দ্ধে রাখার ষড়যন্ত্রের নামান্তর। অপরাধীরা সরকারী দলের অনুসারী ছাত্র সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত না বিরোধীদলের এই বিতর্কের ধুম্রজাল সৃষ্টি থেকে সরে এসে দোষীদের চিহ্নিত করে দলীয় পরিচয়ের ঊর্দ্ধে থেকে অনতিবিলম্বে বিচারের আওতায় এনে কঠোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে তা হবে সরকারের জন্য আত্মঘাতী।”
উল্লেখ্য, টিআইবি দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনের সহায়ক হিসেবে ২০০৬ সালে ‘ইয়ুথ এনগেজমেন্ট এ্যান্ড সাপোর্ট- ইয়েস’ কর্মসূচি গ্রহণ করে। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ে ৪৫টি সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এলাকা ও বৃহত্তর ঢাকা সহ সারাদেশে ৬০টি ইয়েস গ্রুপ তাদের বিভিন্ন দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করছে।