Published: 27 January 2019
দেশব্যাপী দুর্নীতিবিরোধী চাহিদা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিষয় নিয়ে গবেষণা ও তার ভিত্তিতে অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। শিক্ষাখাতে সুশাসন টিআইবি’র গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি কার্যক্রমের অন্যতম প্রাধান্যের ক্ষেত্র। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের যথাযথ মূল্যায়ন ব্যাহত হওয়া, শিক্ষার গুণগত মান হ্রাস পাওয়া, শিক্ষার্থীদের অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হওয়া ও সর্বোপরি মেধাভিত্তিক মানবসম্পদ বিকাশের ক্ষেত্রে ঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট টিআইবি ‘পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস: প্রক্রিয়া, কারণ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে এবং পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস রোধে সাত দফা সুপারিশ প্রণয়ন করে।
পরবর্তীতে সরকারের পক্ষ থেকে পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় যেগুলো অনেকক্ষেত্রেই উল্লিখিত গবেষণা প্রতিবেদনে প্রস্তাবিত সুপারিশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে একাধিক প্রশ্নপত্রের সেট প্রবর্তন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন হ্রাসকরণ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কঠোর নজরদারি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সতর্কতা, প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে শিক্ষক ও কোচিং সেন্টারের মালিক ও অনলাইনে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে অভিযুক্তদের গ্রেফতার ইত্যাদি। সরকারের এসব উদ্যোগ প্রশ্ন ফাঁসের ঝুঁকি হ্রাসের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখলেও প্রশ্ন ফাঁস কার্যকরভাবে এখনও বন্ধ করা যায়নি, ২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা এরই সর্বশেষ উদাহরণ যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে অধিকতর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আবশ্যকতা রয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে উপরোক্ত গবেষণার ভিত্তিতে প্রশ্ন ফাঁস রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিবেচনার জন্য এই পলিসি ব্রিফ উপস্থাপন করা হল।
পুরো পলিসি ব্রিফের জন্য এখানে ক্লিক করুন।