বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষায় উন্মুক্ত স্কুল তথ্যের ব্যবহার: স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে করণীয়
প্রকাশকাল:
০৯ অক্টোবর ২০১৮
বাংলাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে সরকারি ও নাগরিক উদ্যোগে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম লক্ষ করা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে স্কুল মনিটরিং বোর্ড, মা সমাবেশ, অভিভাবক সমাবেশ, সিটিজেন চার্টার ইত্যাদি। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি নাগরিক উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে উন্মুক্ত তথ্য বোর্ড, সিটিজেন রিপোর্ট কার্ড, অংশগ্রহণমূলক মা ও অভিভাবক সমাবেশ, স্যাটেলাইট তথ্য ও পরামর্শ ডেস্ক ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে সভা ইত্যাদি। নাগরিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) দেশের ৩৭টি জেলা ও ৮টি উপজেলাসহ মোট ৪৫টি এলাকায় সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এর মাধ্যমে এবং ক্যাম্পেইন ফর পপুলেশন এডুকেশন (ক্যাম্পে) তার নির্বাচিত এলাকার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তথ্যের উন্মক্তকরণ ও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে এসব সরকারি এবং নাগরিক উদ্যোগের মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধিতে উন্মুক্ত তথ্যের তুলনামূলক অবদান সম্পর্কে বস্তুনিষ্ঠ গবেষণার অনুপস্থিতি রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষায় তথ্যের উন্মুক্তকরণে সরকারি ও নাগরিক উদ্যোগের তুলনামূলক চিত্র বিশ্লেষণের জন্য জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংগঠন (ইউনেসকো) - এর উদ্যোগে টিআইবি সম্প্রতি একটি গবেষণা কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল ও বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে উন্মুক্ত স্কুল তথ্যের উদ্যোগগুলো আরো জোড়ালো ও কার্যকর করার মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি ও মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট অংশীজনের বিবেচনার জন্য এই পলিসি ব্রিফটি উপস্থাপন করা হচ্ছে।