প্রকাশকাল: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
দুর্নীতির বিরুদ্ধে একসাথে
সনাক-স্বজন, ইয়েস-ইয়েস ফ্রেন্ডস, ওয়াইপ্যাক জাতীয় সম্মেলন ২০১৮
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, আগারগাঁও, শের-ই-বাংলা নগর, ঢাকা
সম্মেলনের ঘোষণা
আমরা ‘সনাক-স্বজন, ইয়েস-ইয়েস ফ্রেন্ডস, ওয়াইপ্যাক জাতীয় সম্মেলন ২০১৮’-এর সমাপ্তিতে সম্মিলিত ঘোষণা করছি যে, আমরা দুর্নীতিকে সর্বান্তঃকরণে ঘৃণা করি, ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে দুর্নীতি থেকে বিরত থাকতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, এবং নিজ নিজ অবস্থান থেকে একক ও সমষ্টিগতভাবে দুর্নীতিকে কার্যকরভাবে প্রতিরোধের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনকে আরও বেগবান ও কার্যকর করতে আমরা একযোগে কাজ করতে সচেষ্ট ও সক্রিয় থাকব।আমরা আমাদের বিবেককে চির জাগ্রত রেখে অন্য সকলের, বিশেষকরে তরুণ প্রজন্মকে দুর্নীতি প্রতিরোধে উদ্বুদ্ধ করব।
দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে চাই কার্যকর দুর্নীতি দমন কমিশন
দুর্নীতি উন্নয়ন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার অন্যতম অন্তরায় বিধায় দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমকে দীর্ঘস্থায়ী ও কার্যকর করতে সরকার, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, নাগরিক সমাজসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানাই। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)ক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছি। একইসাথে ঘুষ, অনোপার্জিত আয়, কালো টাকা, চাঁদাবাজি, ঋণখেলাপি, টেন্ডারবাজি ও পেশিশক্তি প্রতিরোধ এবং দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন নির্মূলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে, আইনি, রাজনৈতিক, সামাজিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ জোরদার করার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জোর দাবি জানাচ্ছি। দুর্নীতিবিরোধী জাতিসংঘ কনভেনশনের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে দেশ থেকে অর্থ পাচার প্রতিরোধ, পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনা ও পাচারকারীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার সকল সুযোগ সদ্ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি।
পরীক্ষার অবারিতভাবে প্রশ্নফাঁস হওয়া শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা এবং মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ধুলিস্মাৎ করার সামিল। আমরা প্রশ্নপত্র ফাঁস, ভর্তি বাণিজ্য ও নিয়োগ বাণিজ্য রোধে কার্যকর উদ্যোগসহ জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।
চাই কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ বাতিল ও আর্থিক খাতে আস্থা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ
ব্যবসা-বাণিজ্যে কালো টাকা ও সিন্ডিকেটের প্রভাব নিয়ন্ত্রণ এবং পুঁজিবাজারে সাধারণ মানুষের বিনিয়োগের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আমরা সরকারের কঠোর পদক্ষেপ কামনা করছি। একইসাথে সংবিধান ও নির্বাচনী অঙ্গীকারের পরিপন্থী কালো টাকা বৈধ করার সকল প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সুযোগ বন্ধের জোর দাবি জানাচ্ছি। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকিং খাতের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত সংকটের সাথে যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় লালিত বেসরকারি ব্যাংকের নজিরবিহীন কেলেঙ্কারী। বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ পাচারের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি। দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাতে ঋণখেলাপী, বিভিন্ন প্রকার জালিয়াতি, অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গ্রাহক ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করতে সরকারের কার্যকর উদ্যোগ কামনা করছি। এ ধরনের দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করাসহ দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।
জাতীয় উন্নয়নে চাই স্বচ্ছতা, অংশগ্রহণ ও পরিবেশের প্রতি সংবেদনশীলতা
উন্নয়ন জনগণের জন্য, জনগণের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য। জনস্বার্থে ও জনগণের অর্থে পরিচালিত অবকাঠামোগত বিভিন্ন উন্নয়নপ্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিশদ তথ্য স্বপ্রণোদিতভাবে প্রকাশ করতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। বিশেষ করে বৈশি^ক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় জলবায়ু তহবিলের অর্থায়নে বাস্তবায়নরত প্রকল্পসহ সকল উন্নয়ন কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট নাগরিক ও সকল অংশীজনের অভিমত, অধিকার ও অংশগ্রহণকে প্রাধান্য দেওয়ার আহ্বান জানাই। এছাড়া সুন্দরবনসহ পরিবেশের প্রতি ঝুঁকিপূর্ণ সকল প্রকল্প বাতিল, এবং ভবিষ্যতে যেকোনো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের আগে পরিবেশের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব যাচাই নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।
চাই তথ্যের অধিকার, অবাধ তথ্য প্রবাহ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা
অবাধ তথ্য প্রবাহ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা গণতন্ত্র ও সুশাসনের পূর্বশর্ত এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের অন্যতম সহায়ক হাতিয়ার। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের সাথে সংগতি রেখে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ ও তথ্য প্রকাশকারীর সুরক্ষা আইন ২০১১-এর কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য আমরা সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। বাক-স্ব^াধীনতা, মত ও তথ্য প্রকাশের স্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠার পরিপন্থী সকল আইন ও বিধিমালা বিশেষ করে ফরেন ডোনেশনস রেগুলেশন অ্যাক্টের ১৪ ধারা, আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারা এবং প্রস্তাবিত ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের ৩২ ধারা বাতিল করার আহ্বান জানাচ্ছি। সরকারের সহযোগী ও সহযোদ্ধা হিসেবে দেশের নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি। গণমাধ্যমের ওপর করপোরেট প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ দূর করার জন্য সকল অংশীজনকে আহ্বান করছি। দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য দুর্নীতির তথ্য প্রকাশে নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমকর্মীদের আরও সক্রিয় হতে আহ্বান জানাচ্ছি।
তৃণমূলে চাই কার্যকর, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সেবা
স্থানীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ভূমি, স্থানীয় সরকারসহ অন্যান্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে আমরা কার্যকর, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সেবা চাই। এর জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে শুদ্ধাচার চর্চার পাশাপাশি দুদকসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট অংশীজনের পক্ষ থেকে আমরা কার্যকর পরিবীক্ষণ ও তদারকির দাবি জানাই। আমরা চাই এসব প্রতিষ্ঠান ও খাতের জন্য চাহিদা যাচাই সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্দ, জনবল ও অন্যান্য আবশ্যকীয় বিষয় নিশ্চিত করা হোক। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে স্থানীয় কমিটিগুলোকে আমরা আরও সক্রিয় ও কার্যকর দেখতে চাই।
চাই জবাবদিহিমূলক ও গণতান্ত্রিক চর্চা
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দৃঢ় ও শক্তিশালী করতে এবং সর্বোপরি দেশের সার্বিক কল্যাণে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কার্যকর ভূমিকা চাই। আমরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের কালো টাকার ব্যবহার বন্ধে এবং নির্বাচন পরিচালনায় নির্বাচন কমিশনের কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিতকরণের দাবি জানাচ্ছি। সকল রাজনৈতিক দলকে সংযত, সহনশীল ও গণতান্ত্রিক চর্চার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানাই। একইসাথে সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে সংসদকে কার্যকর করার লক্ষ্যে সকল রাজনৈতিক দলকে কার্যকর ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।
সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করার জন্য চাই আইনের শাসন
বিচার-বহির্ভূত হত্যাকা-,গুম, অপহরণ, ধর্ষণ ও গণধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ দমনসহ দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে আরও সচেষ্ট হওয়ার জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের প্রতি আবেদন জানাচ্ছি। এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ এবং বিশেষ করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে থেকে নিরপেক্ষ ও সকল প্রকার প্রভাবমুক্ত হয়ে পেশাদারিত্বের সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালনের আহবান জানাচ্ছি। যেকোনো অপরাধ ওমানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার সাথে জড়িত সকল দোষী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। নারী ও শিশুসহ সকল সুবিধাবঞ্চিতের ক্ষমতায়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করেদেশের আপামর জনগণ, বিশেষকরে ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, প্রতিবন্ধী ও আদিবাসীসহ পরিচয়-নির্বিশেষে সকল নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে আরও সক্রিয় ও সচেষ্ট হতে সরকার, রাজনৈতিক দল, প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ, গণমাধ্যম, বেসরকারি সংস্থাসহ সকল অংশীজনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই।
চাই সকল স্তরে কার্যকর, জবাবদিহিমূলক ও স্বচ্ছ প্রতিষ্ঠানের বিকাশ
জাতীয় সততা ব্যবস্থার সকল প্রতিষ্ঠান, যাদের ওপর জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাাস্তবায়ন এবং আইনের শাসন ও জবাবদিহিমূলক সরকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব রয়েছে, তাদের বিশেষকরে জাতীয় সংসদ, প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশন ও মানবাধিকার কমিশনের নিরপেক্ষতা, বস্তুনিষ্ঠতা, দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করারও দাবি করছি, যেন তারা স্বাধীন ও কার্যকরভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে।
চাই ন্যায্য, সুশাসিত ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ
আমরা মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে সততা, মূল্যবোধ, নৈতিকতা, স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা, জবাবদিহিতা ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার মাধ্যমে সকল প্রকার শোষণ ও বৈষম্য অবসানের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে গণতন্ত্র, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ, সুশাসন এবং জাতি-ধর্ম-বর্ণ, লিঙ্গ, আদিবাসী, বাঙালী, প্রতিবন্ধী বা অন্য যেকোনো পরিচয় নির্বিশেষে সকল মানুষের সম-অধিকার প্রতিষ্ঠার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি। নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। আমরা চাই ন্যায়ভিত্তিক, সুশাসিত ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল প্রকাশিত সাম্প্রতিক দুর্নীতির ধারণাসূচকে বাংলাদেশের দুই ধাপ অগ্রগতি স্বস্তিদায়ক, কিন্তু মোটেই সন্তোষজনক নয়। বাংলাদেশ এখনো দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় সর্বনি¤œ স্থানে থাকায় আমরা বিব্রত। কার্যকর দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ও আন্তর্জাতিক তুলনামূলক প্রেক্ষিতে সম্মানজনক অগ্রগতি অর্জনের লক্ষ্যে দুর্নীতিবিরোধী সরকারি ঘোষণার কার্যকর প্রয়োগ করতে হবে। দুর্নীতির জন্য অভিযুক্ত সকলকে পরিচয় ও অবস্থানের ঊর্ধ্বে থেকে আইনের চোখে সমান দৃষ্টিভঙ্গী থেকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
সর্বোপরি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণকে সোচ্চার ভূমিকা পালনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, যার দায়িত্ব সরকারেরই ওপর। ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উদযাপন আমাদের উৎসাহিত করেছে। আমরা এর প্রশংসা করি। তবে অন্যদিকে বাক-স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করার সুযোগ সৃষ্টিকারী আইনি সংস্কারের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এ ধরনের পদক্ষেপ গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের জন্য যেমন ঝুঁকিপূর্ণ, দুর্নীতিবাজদের সুরক্ষার মাধ্যমে এর বিস্তারের জন্য তেমনি সহায়ক। তাই বাক-স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের মাধ্যমে জনগণকে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য সোচ্চার হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানাই।
ডাউনলোড করার জন্য এখানে ক্লিক করুন